স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতের পালিয়ে যাওয়ার পরও বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র আমাদের প্রতিহত করতে হবে এবং আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে পারবো। বর্তমান সময়ে আমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সেই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মনে রাখতে হবে আমানত যেন খেয়ানত না হয়। গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সাবেক সংসদ সদস্য, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুল হক মিলন এসব কথা বলেন।
জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদব সাঈদুর রহমান সাাঈদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ফজলূল হক মিলন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য এবং সাবেক আন্তর্জাতিক ভিসয়ক সম্পাদক গিয়াস আহমেদ। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়া যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আলহাজ বাবর উদ্দিন, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ আন্তর্জাদিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাতিন, স্টেট বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিপি জসীম, আনোয়ার হোসেন, আরিফুর রহমান, রইস উদ্দীন ও সৈয়দা মাহমুদা শিরিন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আশরাফ হোসেন, নীরা রাব্বানী, আবুল বাশার, গুলজার হোসেন, স্টেট বিএনপির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব দেওয়ান কাউসার, কোকো স্মৃতি পরিষদের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রাজু, নূরে আলম, বদরুল হক আজাদ, শহীদুল ইসলাম আকন্দ ও যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলুল হক মিলন বলেন, আমি আপনাদের সহকর্মী। তাই সংবর্ধনা না নিয়ে আমি মদবিনিময় সভার জন্য বলেছিলাম। তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতের পালিয়ে যাওয়ার পরও বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র আমাদের প্রতিহত করতে হবে। এবং আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে পারবো। বর্তমান সময়ে আমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সেই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মনে রাখতে হবে আমানত যেন খেয়ানত না হয়। আপনাদের মনে রাখতে হবে আপনারা ১৬/১৭ বছরের আন্দোলনের ফসল। যদিও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। তবে সবার স্মরণ রাখতে হবে এই আন্দোলনের পেছনে ছিলেন তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান। তিনি আরো আন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, আমানত যাতে খেয়ানত না হয় সেইদিকে খেয়াল রাখবেন। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান জাতীয় সরকারের কথা বলেছন। তিনি বলেছিলেন টেক ব্যাক বাংলাদেশ। এটা আপনারাই জনপ্রিয় করেছেন। আমরা জানি, আপনারা আন্দোলন করেছেন। আন্দোলনের কারণেই খুনি শেখ হাসিনার সরকারের লোকজন আপনাদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। খুনি হাসিনা বেগম জিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেন, জেলে দেন, আরাফাত রহমান কোকোকে খুন করেছে, তারেক রহমানের ওপর নির্যাতন করেছেন। তিনি আরো বলেন, পদ মানেই ক্ষমতা নয়, পদ মানে দায়িত্ববোধ।
গিয়াস আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল হচ্ছে বিএনপি। আর আওয়ামী লীগ ছিলো রাজাকারের দল। তিনি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক এবং সেক্টর কমান্ডার। তিনি বলেন, আাওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করে সব ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আাওয়ামী লীগ এবং ভারত হচ্ছে বাংলাদেশের শত্রু। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকা ছিল। তাদের ভূমিকার কথা চিন্তা করতে হবে।
অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা আজ থেকে শপথ নিলাম ভারতীয় পণ্য বর্জন করবো। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো আমরা ষড়যন্ত্র মুক্ত নয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে ফুল দিয়ে অথ্যর্ত্থনা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানকে সফল এবং সার্থক করার অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান সবাইকে ধন্যবাদ জানান।