৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:৩২:৩৩ পূর্বাহ্ন


নিশ্চুপ কম্যুনিটি
পিঠে চুরি নিয়ে হাসপাতালে ইয়াসীন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১১-২০২৪
পিঠে চুরি নিয়ে হাসপাতালে ইয়াসীন আহত ইয়াসীন


ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ নভেম্বর বিকেলে ৫টার দিকে। স্থান ১০৭৫ লিবার্টি এভিনিউর আমার বাড়ি রেস্টুরেন্টের সামনে। ঘটনাার ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলে এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি ইয়াসীনের পুরো নাম। কেউ কথা বলতে চাচ্ছেন না। তার রুমমেট যারা তারাও যেন ভয়ের মধ্যে আছে। কোন ঝামেলায় জড়াতে চাচ্ছেন না। হাসপাতালে ইয়াসীনের বর্তমান আবস্থা কেমন তাও কেউ জানতে পারছেন না। পুলিশও হাসপাতালে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তর নেই। কম্যুনিটিও যেন চুপ। কারো যেন মাথা ব্যাথা নেই।

বাংলাদেশী কম্যুনিটির পরিচিত মুখ রামদাস ঘরামী জানান, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে। যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানেই রামদাসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছেন। তিনি জানান, ওজনপার্কে আমার দোকান থেকে একটু দূরে ১০৭৫ লিবার্টি এভিনিউর উপর আমার বাড়ি রেস্টুরেন্টের সামনে ইয়াসীন দাঁড়িয়েছিলেন। এই সময় দুই জন কৃষ্ণাঙ্গ দুর্বৃত্ত দাঁড়িয়ে থাকা ইয়াসীনের কাছ থেকে ছিনতাই করে চলে যাচ্ছিলো। এই সময় অনেক বাংলাদেশীই বিষয়টি দেখছিলেন। কেউ কেউ ধর ধর করে বেড়িয়ে আসতে চাইলে দুই দুর্বৃত্তের মধ্যে একজন ইয়াসীনের পিঠে চুরি মেরে পালিয়ে যান। রামদাস বলেন, ঐ ঘটনার সাথে সাথে পুলিশকে কল করা হলে প্রায় ১৫ মিনিট পরে পুলিশ আসে। পুলিশ আসার আধাঘন্টা পরে অ্যাম্বুলেন্স আসে। এরই মধ্যে ইয়াসীনের রক্তে রাস্তা রঞ্জিত হয়ে যায়। এক পর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তিনি বলেন, আমাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা দুর্বৃত্তের হাতে চুরি থাকার কারণে ইয়াসীনকে রক্ষা করতে যেতে পারিনি। তবে ঘটনাটি অনেকেই ভিডিও করেছেন। পুলিশ আসার পর সেই ভিডিও পুলিশকে দেয়া হয়েছে। রামদাস বলেন, ইয়াসীন নতুন আমেরিকায় এসেছে। বয়সেও তরুণ। সে কয়েকজনসহ ঐ এলাকাতে থাকে। তারা বিকেল বেলায় ঐ এলাকায় আড্ডা মারেন। তবে তাদের কাগজপত্র নেই, তাই তাদের মধ্যে ভয় কাজ করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের কাছে থেকে ভিউি নিয়েছে। এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়য়নি। তবে দুর্বৃত্তদের ছবি পুলিশকে দেয়া হয়েছে। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, পুলিশকে কল করার ১৫ মিনিট পরে তারা আসে এবং অ্যাম্বুলেন্স আসে আধা ঘন্টা পরে। অ্যাম্বুলেন্স এসে ইয়াসীনকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঐ সময়ও ইয়াসীনের পিঠে চুরি ছিলো। 

এক প্রশ্নের জবাবে রামদাস বলেন, পুলিশ আমার সাথে যোগাযোগ করছে। কারণ তার কোন বন্ধু বা আত্মীয় স্বজন নেই। তিনি বলেন, পুলিশ কাছেই আমি জানতে পারি তাকে জ্যামাইকা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। তিনি বলেন, আমি হাসপাতালে ইয়াসীনকে দেখতে গিয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ আমাকে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। শুধু বলেছে, ইয়াসীন ভাল আছে। তবে আমি জানি না ইয়াসীনের কী অবস্থা। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, পুলিশ আমাকে কেন ঢুকতে দিচ্ছে না? ইয়াসীনকে কেন দেখতে দিচ্ছে না? পুলিশ আমাকে বলছে, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই আমাকে দেখতে দেয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে তিনি কম্যুনিটির সহযোগিতা কামনা করেছেন।

জানা গেছে, ইয়াসীনের দেশের বাড়ি বাংলাদেশের নোয়াখালির সোনাইমুড়িতে।

শেয়ার করুন