গত ৪ নভেম্বর সোমবার জোটের অস্থায়ী কার্যালয় সেগুনবাগিচায় জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডাঃ সামছুল আলম। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল)’র সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন চৌধুরী, সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি)’র মহাসচিব হারুন আল রশিদ খান।
সভায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৮৬ দিনের কর্মকান্ড এতো আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থানে জনপ্রত্যাশা উপেক্ষিত হয়েছে, জনমনে হতাশা বাড়ছে। যে বিষয়গুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দ্রুত করা জরুরি ছিলো বাজার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে দ্রব্যমূল্য সাধারণের ক্রয় ক্ষমতায় রাখা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকর করা, পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের প্রশাসন থেকে অপসারণ করে স্থবিরতা দূর করা। এগুলোর কোন সুরাহা করতে পারেনি বরঞ্চ কিছু উপদেষ্টা ক্ষমতা উপভোগ করছে বিভিন্ন সভা সেমিনারে বড় বড় কথা বলছে। নন ইস্যুকে ইস্যু করে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। উপদেষ্টারা কে কি কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে তা নিয়ে জনমনে নানা সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলন হয়েছে স্বৈরতন্ত্র, দুঃশাসন বৈষম্যের বিরুদ্ধে, কিছু উপদেষ্টার অযোগ্যতা অনভিজ্ঞতার কারণে বৈষম্য আরো বেড়েছে।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৮৬ দিন অনেক সময়। এই সময়ে তাদের কাজের কোন জবাবদিহিতা নেই। একদিকে পতিত স্বৈরাচারের একের পর এক ষড়যন্ত্র অপরদিকে উপদেষ্টাদের অযোগ্যতা ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দুর্বলতা প্রকাশিত হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন চলতে পারে না। তাই দ্রুত নির্বাচন কমিশন গঠন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে নির্বাচন দিন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পূর্বশর্ত নির্বাচিত সরকার।