৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৭:১৩:০৪ পূর্বাহ্ন


বাংলাদেশ সোসাইটি নির্বাচনে সেলিম-আলী প্যানেলের ভূমিধস বিজয়
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১০-২০২৪
বাংলাদেশ সোসাইটি নির্বাচনে সেলিম-আলী প্যানেলের ভূমিধস বিজয় বিজয়ী উল্লাস


প্রবাসের মাদার সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির আলোচিত এবং ব্যয়বহুল নির্বাচনে সেলিম-আলী প্যানেল ভূমিধস বিজয় পেয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরি পরিষদের ১৯টি পদের মধ্যে সবকটিতেই তারা জয়ী হয়েছেন। শুধু জয় নয়, প্রতিপক্ষতে একেবারে ক্লিন বোল্ড করে দিয়েছেন। এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল রুহুল-জাহিদ প্যানেলের কোনো প্রার্থী সেলিম-আলী প্যানেলের প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়ে তুলতে পারেননি। সোজা কথা নির্বাচনী লড়াইয়ে রুহুল-জাহিদ প্যানেলের কোনো প্রার্থী মাঠেই দাঁড়াতে পারেনি। মূলত রুহুল-জাহিদ প্যানেল নির্বাচনের শুরু থেকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ছিল। ভোটার করার সময়, এমনকি মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময়ও তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলেন। সিদ্ধান্তহীনতার কারণে তারা পর্যাপ্ত ভোটার করেননি। অতীতে তাদের পক্ষে যারা ছিলেন তারাও সুযোগ বুঝে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তারা তাদের ঐক্য ধরে রাখতে পারেননি। যে কারণে যা সর্বনাশ হবার তাই হলো। 

গত ২৭ অক্টোবর রোববার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নিউইয়র্কে ৫টি কেন্দ্রে একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১৮ হাজার ৬১৩ ভোটারের মধ্যে ৯৩২৪ জন ভোটিাধিকার প্রয়োগ করেন। গড়ে ৫৫ শতাংশংংং। সারা দিন নিউইয়র্কের পাঁচটি কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে লাইন ধরে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। পাঁচটি কেন্দ্রের মধ্যে জ্যামাইকা কেন্দ্রে সর্বাধিক ভোটার ছিল। তবে পাঁচটি কেন্দ্রের মধ্যে সেলিম-আলী প্যানেল তিন কেন্দ্রে এবং রুহুল-জাহিদ দুটো কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন। সকাল বেলায় ঠান্ডা থাকলেও দিন শেষে আবহাওয়া ভালো থাকায় ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে থাকে। তবে প্রস্তুতির দিক থেকে সেলিম-আলী প্যানেল এগিয়ে ছিলেন। যে কারণে শেষ হাসি তাদের মুখেই শোভা পায়। পাঁচটি কেন্দ্রের মধ্যে ব্রুকলিন কেন্দ্রে একটু গন্ডগোল হয়েছে। যদিও কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। দুই প্যানেলের ৩৭ জন প্রার্থী পাঁচটি ভোট কেন্দ্র পোস্টার দিয়ে বাংলাদেশি স্টাইলে সাজিয়ে রাখে এবং নিজেদের গাড়ি দিয়ে ভোটার নিয়ে আসেন। অনেক সময় দেখা গেছে, ভোট দেওয়ার জন্য ভোটাদের নিয়ে আসা হয়, কিন্তু ভোট শেষে তাদের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভোট যার আসন তার তা এবারো প্রমাণিত হলো বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে। 

নির্বাচনে সেলিম-আলী প্যানেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে রুহুল-জাহিদ প্যানেল। এই প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী রুহুল আমিন সিদ্দিকী বর্তমান কার্যকরি পরিষদের পর পর দুইবারের সাধারণ সম্পাদক। তাদের প্যানেল থেকে বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়াও কার্যকরি সদস্য পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। 

ভোটগ্রহণ শেষে রাতে নিউইয়র্কের উডসাইড কেন্দ্রে নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি। এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন, আব্দুল হাকিম মিয়া, হেলাল উদ্দিন, আহবাব চৌধুরী খোকন ও মো. আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দুই প্যানেলের প্রার্থী এবং সমর্থকরা। ছিলেন উভয় প্যানেলের মুরব্বি এবং শুভাকাক্সক্ষীরা। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শাহ নেওয়াজ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, গিয়াস আহমেদ, কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যার্ট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম প্রমুখ। 

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সভাপতি পদে বিজয়ীরা হয়েছেন আতাউর রহমান সেলিম। তার প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ২৮৯। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল আমিন সিদ্দিকী পেয়েছেন ৩ হাজার ৮২০ ভোট। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন মহিউদ্দিন দেওয়ান। তার প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৪৯৪। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক চৌধুরী পেয়েছেন ৩ হাজার ৪০৫ ভোট। সহ-সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ কামরুজ্জামান কামরুল। তার প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৪৮০। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ৩ হাজার ৪০৯ ভোট। 

সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ হাজার ১৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ আলী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাহিদ মিন্টু পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৭২ ভোট। সহ-সাধারণ পদে বিজয়ী হয়েছেন আবুল কালাম ভূঁইয়া। তার প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৮৫। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সরোয়ার খান বাবু পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৪ ভোট। 

কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া রুমী। তার প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ২৪২। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নওশেদ হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬২৬ ভোট। 

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন ডিউক খান। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ২৩০ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাদী মিন্টু পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৩৯ ভোট। 

সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অনিক রাজ। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৯ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী মনিকা রায় চৌধুরী পেয়েছেন ৩ হাজার ৭২৭ ভোট। 

সমাজকল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. জামিল আনসারী। প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ২০৭। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নাদির আহমেদ আইয়ুব পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৮৮ ভোট। 

সাহিত্য সম্পাদক পদে বিজয়ী আখতার বাবুল পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৯৩ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী রোমানা আহমেদ পেয়েছেন ৪ হাজার ৫২ ভোট। 

ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. আশ্রাব আলী খান লিটন। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৯১ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী আলমগীর হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮২ ভোট। 

স্কুল ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান জিলানী। তার প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৩৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শাহনাজ হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৯৪ ভোট। 

এছাড়া কার্যকরি সদস্য পদে বিজয়ী হলেন-মো. সিদ্দিক পাটোয়ারী (প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ১৫৮), হারুন চেয়ারম্যান (প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ২১৮), আবুল কাশেম চৌধুরী (প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ১৫০), জাহাঙ্গীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী (প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ২১৪), মনসুর আহমেদ (প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ১১৯) এবং হাসান খান (প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৩৩)। অন্য প্যানেলের সদস্য প্রার্থীরা পেয়েছেন আব্দুর রব মিয়া ৩ হাজার ৮৪৭ ভোট, মোহাম্মদ তাজু মিয়া ৩ হাজার ৫৬০ ভোট, মোহাম্মদ এন ইসলাম ৩ হাজার ৬৩৫ ভোট, এ কে এম রফিকুল ইসলাম ডালিম ৩ হাজার ৭১৫ ভোট এবং সাইফুল ইসলাম ৩ হাজার ৫৫৪ ভোট। 

কার্যকরি পরিষদের প্রচার ও গণসংযোগ সম্পাদক পদে সেলিম-আলী প্যানেল থেকে রিজু মোহাম্মদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে তিনি পরপর চারবার একই পদে বিজয়ী হয়েছেন। 

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। শিগ্্গিরই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। 

নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ফলাফল ঘোষণার আগে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের সহযোগিতার কারণেই আমরা একটি সুষ্ঠু এবং সুন্দর নির্বাচন করতে পেরেছি। তিনি নির্বাচন কমিশনের সদম্য, বর্তমান কার্যকরি কমিটি, প্রার্থী এবং সব ভোটারদের ধন্যবাদ জানান। তিনি উভয় প্যানেলের প্রার্থীদের ধন্যবাদ জানান। কারণ তাদের সহযোগিতায় আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের অভিনন্দন জানান। 

নবনির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম নির্বাচন কমিশনার এবং সব ভোটারদের ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানান, তাকে এবং তার প্যানেলকে নির্বাচিত করার জন্য। তিনি বলেন, আপনারা আমাদের যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন তা আপনাদের সবার সহযোগিতায় বাস্তবায়ন করবো। 

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীও নির্বাচন কমিশনার এবং ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা বাংলাদেশ সোসাইটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী রুহুল আমিন সিদ্দিকী এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জাহিদ মিন্টু নবনির্বাচিত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

ওজনপার্ক

গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন। নির্বাচনে পাঁচটি কেন্দ্রের মধ্যেই একটি হচ্ছে ৮০-৫০ পিটকিন অ্যাভিনিউ ওজনপার্ক। ওজনপার্ক ভোট কেন্দ্রে ১০টি মেশিনে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ভোট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন আনোয়ার হোসেন। দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান করে। ভোট সংক্রান্ত সমস্যা নির্বাচন কমিশন দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করে। ভোটাররা লাইনে এসে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করেন। কদাচিৎ কোনো সমস্যা হলে নির্বাচন কমিশনের তৎপরতায় নিমেষেই সমাধান হয়। ওজনপার্ক কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে দুপুরের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ভোটারদের উপস্থিতি থাকলে দুপুরের পর আর তেমন কোনো উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়নি। তবে বিকাল থেকে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। নির্বাচন শেষে কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশনার আনোয়ার হোসেন নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উভয় প্যানেলের প্রতিনিধি, কমিশনের সব সদস্য, এজেন্ট নিরাপত্তার কর্মীসহ-সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

ওজনপার্ক ভোট কেন্দ্রের ফলাফল

সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম ৮৪১। প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল আমিন সিদ্দিকী পেয়েছেন ৭২৭। সহ-সভাপতি সিনিয়র মহিউদ্দিন দেওয়ান ৮২২। প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক চৌধুরী ৬৯৯। সহ-সভাপতি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ৮২৯। প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল চৌধুরী ৬৯০। সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী ৭৪০। প্রতিদ্বন্দ্বী জাহিদ মিন্টু ৮১৫। সহ-সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ভুইয়া ৮৫৯। প্রতিদ্বন্দ্বী সারওয়ার খান বাবু ৬৮১। কোষাধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম ভুইয়া ৮৫৯। প্রতিদ্বন্দ্বী নওশাদ হোসেন ৭১০। সাংগঠনিক সম্পাদক ডিউক খান ৭৯৭। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাদী মিন্টু ৭১৮। সাংস্কৃতিক সম্পাদক অনিক রাজ ৮১৪। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিকা রায় চৌধুরী ৬৯৬। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ জামিল আনসারী ৮১৬। প্রতিদ্বন্দ্বী নাদির আহমদ আইয়ুব ৬৯১। সাহিত্য সম্পাদক আক্তার বাবুল ৬৯৬। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রুমানা আহমেদ ৮১৩। ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ আশ্রাব আলী খান লিটন ৮৮১। প্রতিদ্বন্দ্বী আলমগীর হোসেন ৬৩৫। স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক মোহাম্মদ হাছান জিলানী ৭৮৫। প্রতিদ্বন্দ্বী শাহনাজ হোসেন ৭২০। কার্যকরি সদস্য: মোহাম্মদ সিদ্দিক পাটওয়ারী ৭৫৫। মোহাম্মদ রব মিয়াা ৭৬৯। হারুন চেয়ারম্যান ৮৬৯। মোহাম্মদ তাজু মিয়া ৬৭৪। আবুল কাশেম চৌধুরী ৭১৮। মোহাম্মদ এন ইসলাম ৭৮৭। জাহংগীর শহিদ সোরওয়ার্দী ৭৯৩, রফিকুল ইসলাম (ডালিম ) ৬৯৬। মনসুর আহমদ ৭৭৫। সাইফুল ইসলাম ৬৯৭। হাছান খান ৭৯০। 

রুুহুল-জাহিদ প্যানেলের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ 

গত ২৭ অক্টোবর রোববার ২০২৪ বাংলাদেশ সোসাইটির বহুল প্রতিক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সকলের অংশগ্রহণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে। এই নির্বাচনে আপনারা যারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আপনার মূল্যবান ভোট প্রদানের মাধ্যমে যে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেছেন আমরা রুহুল-জাহিদের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি কৃজ্ঞতা জানাচ্ছি। 

প্রথমে আন্তরিক ধন্যবাদ সাতজন নির্বাচন কমিশনারের প্রতি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল আহমেদ জনি, নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ হাকিম মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ মান্নান, হেলাল উদ্দিন, আহবাব চৌধুরী খোকন ও কমিশনার মেহবুবুর রহমান বাদল। তারা অক্লান্তপরিশ্রম করে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছেন। 

আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের রুহুল-জাহিদ পরিষদ নির্বাচনে মাঠে ছিলেন। আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি রুহুল-জাহিদ পরিষদের পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক কমিটির সব সদস্যকে। যারা দীর্ঘদিন রুহুল-জাহিদ পরিষদের সঙ্গে থেকে অভিভাবক হিসেবে কাজ করেছেন। 

আন্তরিক অভিনন্দন জানাই সেলিম-আলী পরিষদের সব নির্বাচিত সদস্যদের। নেতৃত্ব আল্লাহ নির্ধারণ করেন, কিন্তু মানুষের ভালোবাসা ও যে আন্তরিকতা আমি পেয়েছি তা আজীবন ধরে রাখতে চাই। আমরা সব ভোটার, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহযোগীদের যে ভালোবাসা আমরা পেয়েছি তার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে অশেষ শোকরিয়া আদায় করছি। 

আশা করি, এ নবনির্বাচিত পরিষদ আগামী দুই বছর সুন্দর ও আন্তরিকতার সঙ্গে এই সংগঠন পরিচালনা করবে এবং সবার জন্য যে স্লোগান ছিল তা বাস্তবায়ন করবেন। 

শেয়ার করুন