১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার, ৬:০১:৪০ পূর্বাহ্ন


সরকার পরিচালনায় নানা চ্যালেঞ্জ
সেনাপ্রধানের কাছে ভয়ংকর তথ্য উপস্থাপন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-১০-২০২৪
সেনাপ্রধানের কাছে ভয়ংকর তথ্য উপস্থাপন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান


ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারত পালিয়ে যায়। বিশেষ এক পরিস্থিতিতে দেশে গত ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করে। সবার প্রত্যাশা ছিল দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কিন্তু না সে সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান গত ১৬ বছরে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সর্বত্রই আওয়ামী লীগের কর্মকর্তা। এসব আওয়ামী লীগ কর্মকর্তার কারণে কোথাও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সর্বত্রই অস্থিরতা। প্রথমেই ষড়যন্ত্র করা হয় বিচারিক ক্যুর। সে ক্যু সরকার সুন্দরভাবে ট্যাকেল করেছে। তারপরও ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আনসারদের বিদ্রোহ এবং সচিবালয় ঘেরাও। তা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এগিয়ে আসেনি। শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার প্রতিরোধে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। একটি চক্রান্তকারী গ্রুপ তাকে নিয়ে আসে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ইস্যু। যাতে ঘি ঢেলে দিচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়া এবং তথকথিত সাবেক কূটনীতিকরা। এর পাশাপাশি সে দেশেরই ইন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা সৃষ্টির চক্রান্ত করা হচ্ছে। এখনো পুলিশে নিয়ন্ত্রণ নেই, বিচারালয়ে নিয়ন্ত্রণ নেই, প্রশাসনেও নিয়ন্ত্রণ নেই। একটি সূত্রে জানা গেছে, স্যাবোটাইজ চলছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতেও। ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগ সমর্থক কর্মকর্তারা এ সরকারকে ব্যর্থ করতে নানা কূটকৌশল অবলম্বন করছে। তারই কিছু ভয়ংকর নমুনা সেনাবাহিনীর মধ্যম এবং নিম্নসারির কর্মকর্তারা সেনাপ্রধানের দৃষ্টিগোচর করেছেন।

দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য সেনাপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জুনিয়র ও মধ্যসারির কর্মকর্তারা। সেখানে উল্লেখ করা হয়, গতকাল (২৩ সেপ্টেম্বর) ৪:৩০ মিনিটে আমরা আমাদের প্রিয় কমরেডদের একজনকে হারিয়েছি (লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার)। এ পরিস্থিতির পর আমরা চুপ থাকতে পারি না এবং আমরা কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চাই। আমরা ২০০৯ সালের পুনরাবৃত্তি করতে দেবো না। আমরা আপনার নেতৃত্বে উন্নত দেশ গড়বো। স্যার আমরা জানি যে, পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর শেষ অবলম্বন ছিল সেনাবাহিনী। যদি আপনি ৩ আগস্ট ফায়ার অর্ডার দিতেন, তাহলে এ দেশে গৃহযুদ্ধ হতো। আলহামদুলিল্লাহ, স্যার আপনি এ দেশকে বাঁচিয়েছেন এবং আমরা সবাই আপনার ওপর আস্থা রাখি। কিন্তু সেনাবাহিনীর বর্তমান কর্মকাণ্ডে আমরা মনে করি, দেশ ধীরে ধীরে নৈরাজ্যের দিকে যাচ্ছে। আর আমাদের সন্দেহ হচ্ছে আপনি এবং কয়েক জন সিনিয়র অফিসার ছাড়া অধিকাংশ সিনিয়র অফিসার চায় আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসুক বা এদেশে অস্থিরতা বিরাজ করুক, যাতে মানুষ বলে আগেই তো ভালো ছিলাম। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন-

১. জিওসি ৩৩ পদাতিক ডিভিশন: প্রথম থেকেই তিনি ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন একনিষ্ঠভাবে। আন্দোলন দমাতে সবধরনের চেষ্টা তিনি করেছেন। ৪ আগস্ট কুমিল্লা সেনানিবাসের প্রধান ফটকের সামনে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ গুলিবর্ষণ করে সাধারণ ছাত্রদের ওপর। তিনি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। সব তথ্য থাকার পরও তিনি ৫ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতিকে ধরতে ২৩ বীরকে অনুমতি দেননি। তিনি অজুহাত দেন যে, বড় বড় সন্ত্রাসবাদীদের পরে ধরো, আগে ছোট চাঁদাবাজ ধরো। এখনো আমরা তাদের ধরতে পারিনি এবং তাদের কাছে অস্ত্র আছে। তিনি ১৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা সেনানিবাসে একজন উপদেষ্টার আত্মীয়কে আমন্ত্রণ জানিয়ে আপনার আদেশ অমান্য করেছেন (আপনি আদেশ দিয়েছিলেন যে, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের-আত্মীয়দের কম আনতে)। ঈদে মিলাদুন্নবীতে তিনি একটি ইউনিটে ভাষণ দিয়েছিলেন যে, তোমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ো এবং তিনি উল্লেখ করেছেন আমি উদ্ধৃত করছি-‘তোমরা ঠিকমতো নামাজ পড়ো না, আবার দাড়ি চাও। দাড়ি রাখলে ফায়ার করতে অসুবিধা হবে, দাড়ি রাখলে চুলকায়। একজন জেনারেল কীভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে?’

২. জিওসি ৯ ডিভিশন: তিনি সাভার এলাকার গার্মেন্টস ইস্যু এবং অন্যান্য সমস্যার জন্য এককভাবে দায়ী। তিনি ১১ বীরকে আওয়ামী লীগের এমপি আমির হোসেন আমুর বাড়িতে অপারেশন করতে দেননি। তিনি বিলম্ব যুদ্ধনীতি অনুসরণ করে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলছেন। ওনার নিয়ন্ত্রণাধীন ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সাইফুল্লাহ ও ব্রিগেডিয়ার মাহমুদ ৩ ও ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতা বিপ্লবকে থামানোর জন্য হেন কোনো অপচেষ্টা করতে বাকি রাখেননি এবং নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর অত্যধিক শক্তিপ্রয়োগ করতে পিছপা হননি। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের সময় ওনাদের নৌকা ও চেতনাপ্রীতি সর্বজন স্বীকৃত।

৩. জিওসি ১০ ডিভিশন: তিনি জুনিয়র অফিসারদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার অনুমতি দেননি। তিনি শুধু সিও-ওসিকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি লে. তানজিম সরোয়ার নির্জনের মৃত্যুর জন্য একক-আংশিকভাবে দায়ী। তিনি সরাসরি আইন ভঙ্গ করেছেন। এমতাবস্থায় কেন শুধু ডিভিশন পর্যায়ে তদন্ত আদালত গঠিত হচ্ছে? আমরা মনে করি, মেজর জেনারেল সারোয়ার এবং ব্রিগেডিয়ার নবীকে আইনের আওতায় আনার জন্য সেনাবাহিনী পর্যায়ের তদন্ত আদালত গঠন করা উচিত। 

১০ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ড স্ট্র্যাকচার পুরোপুরি পরিবর্তন করা অত্যন্ত আবশ্যক। কারণ ওনারা জ্ঞাত আছেন ডিজিএফআই (আয়নাঘর) এবং এনএসআই কর্মরত থাকার সময় ওনাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের (মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জনগণবিরোধী) জন্য ওনাদের চাকরি যে কোনো সময় চলে যেতে পারে। বিদায় যেভাবেই হোক পতিত আওয়ামী লীগ সরকারকে ফেরত আনার জন্য ওনারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

৪. জিওসি ৫৫ ডিভিশন : নতুন জিওসিরও একই মানসিকতা রয়েছে। তিনি অস্ত্র উদ্ধার করার ব্যাপারে শৈথিল্য দেখাচ্ছেন এবং বিলম্ব যুদ্ধনীতি অনুসরণ করছেন।

৫. জিওসি ৭ ডিভিশন : একটি থানার একজন এসআইয়ের সঙ্গে একটি ঘটনার পর তিনি ক্যাপ্টেন মাজহার, ৪১ বীরকে হেয় করেছেন। ক্যাপ্টেন মাজহারের কাছে অভিযোগ আসে যে, কিছু গুন্ডা একটি মেয়েকে অপহরণ করে কয়েক লাখ টাকা দাবি করেছে। অবস্থানটি দুই ঘণ্টারও বেশি দূরত্বে হওয়ায় তিনি নিকটস্থ থানা পুলিশকে ফোন করেন এবং সে পুলিশ (এসআই) তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে জিওসি সে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি, বরং ক্যাপ্টেন মাজহারকে সতর্ক করেন।

৫. জিওসি ১১ ডিভিশন : খাঁটি আওয়ামী লীগপন্থী অফিসার। তার এক ভাই আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন ডিজি এসএসএফ। বাড়ি গোপালগঞ্জে। সেনাবাহিনীর সামরিক সচিব হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন আওয়ামীপন্থী এএমএস (লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিশাদ-৪৩)-এর মাধ্যমে ভিন্নমত অবলম্বনকারী অফিসারদের দেশের বিভিন্ন দূরবর্তী জায়গায় পোস্টিং করতেন।

আসলে কয়েকজন ছাড়া সিনিয়র অফিসাররা আমাদের সঙ্গে মাইন্ড গেম খেলছে। আপনি কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাবেন না, তবে এটি একটি খোলা গোপন বিষয় যে, তারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে এবং তা করার কারণও আছে।

৫৫ পদাতিক ডিভিশনের প্রাক্তন জিওসি মেজর জেনারেল মাহবুব তার ডিভ আর্মড ইউনিট সিও ৯ ল্যান্সারের মাধ্যমে সামরিক অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহিম (যিনি র‌্যাব ও এনটিএমসিতে ছিলেন এবং মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের ঘনিষ্ঠ)। গোপালগঞ্জের ঘটনা এবং আওয়ামী গুন্ডা ও মুজিব শেঠদের প্রচ্ছন্ন সমর্থনে তার নিষ্ক্রিয়তা সম্পর্কে কি বলবো? তিনি এখন ডিজি ডিজিডিপির মতো একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন। ইউনিফর্মে হাসিনার সামনে মাথা নত করার জন্য কেন তাকে বিচার করা হচ্ছে না? ইউনিফর্মের অসম্মান করার জন্য তার শাস্তি হওয়া উচিত।

র‌্যাব এ কর্মরত থাকাকালীন মানবাধিকার ১০ ডিসেম্বর ২০২১-এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক স্যাংশনপ্রাপ্ত অফিসাররা এখনো চাকরিতে রয়েছে (ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিফতাহুল ইসলাম)। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত এবং তারা নির্দোষ হলে আমাদের উচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করা, কিন্তু তারা অপরাধী হলে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। 

ডিজিএফআই : ডিজিএফআইয়ের ব্যুরো প্রধানদেরও পরিবর্তন করা হয়নি, ডেটগুলোর জিএসও-১ পরিবর্তন করা হয়নি, ডিজিএফআই সঠিকভাবে কাজ না করলে ব্যাপক পরিবর্তন দরকার। ৫ আগস্টের আগে যারা কাজ করেছেন, তাদের ইউনিটে ফিরিয়ে এনে দেশপ্রেমিক অফিসারের স্থলাভিষিক্ত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করুন। যারা গত ১৫ বছরে এসএসএফ, পিজিআর (লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহিদ, মাহমুদুল হাসান), ডিজিএফআই, সামরিক গোয়েন্দা পরিদফতর (লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজহার) ও এনএসআইতে দীর্ঘসময় চাকরি করেছেন, তারা এখনো উচ্চপদে অধিষ্ঠিত। 

আয়নাঘরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে তিনজন জ্যেষ্ঠ অফিসারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, যা সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু আয়নাঘরের যে মূল কারিগর লেফটেন্যান্ট জেনারেল আকবর, তার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার দৃশ্যমান ব্যবস্থা আপনি গ্রহণ করেননি। উপরন্তু আপনার ব্যাচমেট বিধায় ওনাকে বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করছেন।

এছাড়াও র‌্যাবের কোনো এডিজি অপারেশন ও গোয়েন্দা শাখাপ্রধানদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বারা আমাদের মেরুদ- ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং এটি নিরাময় করতে ১৫ বছর লেগেছে। আপনি যদি দ্রুত এবং কার্যকর ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আমরা আবার এ সম্মান হারাবো। আপনি ও হাতেগোনা কয়েকজন জ্যেষ্ঠ অফিসার ছাড়া অন্যান্য অধিকাংশ জ্যেষ্ঠ অফিসারদের মনোভাব নিম্নরূপ:

১. তারা চায় প্রাক্তন সরকার প্রতিবিপ্লব তৈরি করুক এবং তারা বিলম্বের লড়াই অথবা ধীরে চলো নীতিতে আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করে তা তৈরি করার চেষ্টা করছে। ২. তারা আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্ত ও নেতাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এই জেনারেলরা সরাসরি জড়িত না হলেও তারা পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করছে। ৩. আপনার আদেশকে বিভিন্নভাবে আওয়ামী সুবিধাবাদী জেনারেলরা খ-িত ও বিকৃত আকারে কনিষ্ঠ অফিসারদের সামনে উপস্থাপন করছেন, যাতে আপনার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস কমে যায়। ৪. পরিকল্পিত উপায়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের না ধরার ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত সৃষ্টি করা হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আওয়ামী মতাদর্শের ব্রিগেড কমান্ডার ও জিওসিরা ইউনিট অধিনায়কদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পক্ষে যায়, এরকম আভিযানিক পরিকল্পনাকে সমর্থন করছেন (উদাহরণ দশম পদাতিক ডিভিশন ও নবম পদাতিক বিষয়)। এ কারণে একদিকে আপনার ওপর সেনাবাহিনীর অধস্তনদের আস্থা ও বিশ্বাস কমছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের কাছে সেনাবাহিনী প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এই সুযোগ নিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুনর্বাসিত ও সংঘটিত হচ্ছে, যা জাতির জন্য অত্যন্ত ভয়ংকর।

পরিশেষে ছাত্র-জনতার এ বিপ্লবকে কোনোভাবে বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের মাটি থেকে ফ্যাসিবাদ দুর্বৃত্তদের যে কোনো মূল্যেই হোক সমূলে উপড়ে ফেলা এখন আপামর জনসাধারণের দাবি। সময়ের কাজ সময়েই করা ভালো। বাংলাদেশের সব সেনাসদস্য আপনার পাশে আছে এবং থাকবে।

শেয়ার করুন