নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জেসিকা রামোস আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫ সালের নিউইয়র্ক শহরের মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন। ২০২৫ সালের ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তিনি এ পর্যন্ত চতুর্থ ডেমোক্র্যাট হিসেবে নির্বাচনে যোগ দিয়েছেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে তিনি তার প্রচারাভিযান শুরু করেন। জেসিকা রামোসের মেয়র পদে প্রার্থিতা ঘোষণার সময় নিউইয়র্ক সিটির বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসের প্রশাসন একাধিক ফেডারেল তদন্তের মুখোমুখি। শহরের পুলিশ কমিশনার এডওয়ার্ড কাবানের পদত্যাগ করেছেন। তদন্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গত ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পুলিশ কমিশনার এডওয়ার্ড কাবান পদত্যাগ করেন।
১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে প্রচারাভিযান ঘোষণার সময় সিনেটর জেসিকা রামোস বলেন, আমার কাজ কার জন্য বা কে আমাকে অর্থ দিচ্ছে তা নিয়ে আপনাকে কখনোই ভাবতে হবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সিটি হলে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য নিউইয়র্কবাসীর নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন। তিনি বলেন, নিউইয়র্কবাসী একটি নতুন দিনের অপেক্ষায়। আমি একজন মা, অভিবাসী কন্যা এবং দ্বিভাষিক নিউইয়র্কার হিসেবে এ শহরকে আরো উন্নত করতে চাই।
রামোসের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো, সিটি হলের স্বচ্ছতা এবং জনসেবার প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে তার অভিজ্ঞতা এবং জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের ওপর জোর দিতে চান। তার মতে, নিউইয়র্কবাসী এমন একটি নেতৃত্ব চান, যা শহরের প্রতিটি নাগরিকের জন্য সমান অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করবে।
জেসিকা রামোস ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো কুইন্স থেকে রাজ্য সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হন। তার বাবা-মা কলম্বিয়া থেকে অভিবাসী হিসেবে এসেছিলেন এবং তার দুই সন্তান নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করে। রামোস হচ্ছেন চতুর্থ ডেমোক্র্যাট যিনি অ্যাডামসের বিরুদ্ধে প্রাথমিক নির্বাচনে লড়াই করবেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিটি কম্পট্রোলার ব্রাড ল্যান্ডার, প্রাক্তন কম্পট্রোলার স্কট স্ট্রিঞ্জার এবং রাজ্য সিনেটর জেলনর মাইরি, যারা সবাই প্রগতিশীল।
নিউইয়র্কের পরবর্তী মেয়র পদে লড়াইয়ের জন্য প্রতিযোগীদের তালিকা ক্রমশ বড় হচ্ছে এবং জেসিকা রামোসের আগমনে এ প্রতিযোগিতা আরো উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠছে। নিউইয়র্ক সিটির প্রথম লাতিনা এবং প্রথম নারী মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে রামোসের এ ঘোষণা শহরের রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে।