১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার, ০১:৩৯:০৪ পূর্বাহ্ন


গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এখন সকলের দায়িত্ব
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৮-২০২৪
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এখন সকলের দায়িত্ব জোনায়েদ সাকি


গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল গত ৬ আগস্ট এক যৌথ বিবৃতিতে অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা, জনগণের নিরাপত্তা এবং দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে আহ্বান জানান। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, আজকে বাংলাদেশে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারকে হটিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থী-জনতার গণঅভ্যুত্থান। এখন দেশটাকে সকলে মিলে গড়তে হবে। দেশে এখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে সকলের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষার্থী ও জনতার অভ্যুত্থানের মূল চালিকাশক্তি হলো ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান, স্বৈরতন্ত্রের আর ফিরে না আসার নিশ্চয়তা। এই গণআন্দোলন চেয়েছে এই রাষ্ট্র হবে জনগণের জন্য বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ, মর্যাদাপূর্ণ, সার্বভৌম নতুন বাংলাদেশ। সেই আকাক্সিক্ষত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আর বিশেষত জাতির উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থী-জনতা যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলেছে, তা সামনের দিনের জাতীয় রূপরেখায় নির্দেশনা হিসেবে গণ্য হবে।

বিক্ষুব্ধতা বা ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে দেশের কোনো সম্পদ বিনষ্ট করা না হয় এবং কোনোভাবেই ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয়, কোন উপাসনালয় যাতে হামলার শিকার না হয় সেজন্য সকলকে সচেতন ভূমিকা পালনের জোর আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। সারাদেশে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করতে দেশের দায়িত্ব নিতে ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে পাড়ায় পাড়ায় দেশ রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করতে হবে। গণসংহতি আন্দোলনের নেতা কর্মীদের প্রতি এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে ও ছাত্র জনতাকে সাথে নিয়ে কাজ করতে আহ্বান জানান তারা। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশজুড়ে অনেক সন্ত্রাস সহিংসতার ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। নানা দিক থেকে এসে ঘাপটি মেরে বসে থাকা সন্ত্রাসীরা সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি লুটপাট করেছে, মন্দিরে হামলা করেছে এবং অনেক সরকারি স্থাপনায় ভাংচুর হয়েছে; এর ফলে অনেকে হতাহত হয়েছে। এটা এই মুহূর্তে বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। গণআন্দোলনের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে অতিসত্ত্বর শান্তিশৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা সেনাবাহিনীসহ দেশের আন্দোলনরত সকল জনতাকে ভূমিকা রাখতে আহবান জানাই। দেশবাসীর প্রতি গণসংহতি আন্দোলনের এটা উদাত্ত আহ্বান। অবিলম্বে সকল হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং গ্রেফতারকৃত সকল শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, এক দফার আন্দোলনে শরিক হওয়া প্রত্যেকটি ছাত্র-জনতাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশগ্রহণ করে হাজার হাজার মানুষ গুলি খেয়েছেন, শত শত ছাত্র-জনতার শহীদ হয়েছেন। আমরা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং আহত ও নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সারাদেশে মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করতে ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে পাড়ায় পাড়ায় দেশ রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠনে নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন