৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৭:২৩:৩৬ অপরাহ্ন


একদল লুটেরা গোষ্ঠী দেশের মালিক বনে গেছে : প্রিন্স
বিশেষ প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৮-২০২৫
একদল লুটেরা গোষ্ঠী দেশের মালিক বনে গেছে : প্রিন্স বক্তব্য রাখছেন রুহিন হোসেন প্রিন্স


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জেলা কমিটির দ্বিতীয় সম্মেলনে পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন গণতান্ত্রিক উত্তরণ ভিন্ন দেশের জন্য মঙ্গলজনক আর কোনো পথ নেই। সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করে তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই উত্তরণকালীন যাত্রা ব্যাহত করতে নানা অপশক্তির চলমান তৎপরতা রুখে দিতে হবে।

তিনি বলেন, ৫৪ বছরেও মহান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা অনুসারে গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন বাংলাদশ গড়ে ওঠেনি। রাজধানী ঢাকাও অদক্ষ ও গণবিরোধী শাসকদের হাতে বৈষম্যের অনিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে উঠেছে। শাসকগোষ্ঠীর লুটপাটের নীতি এই অবস্থার জন্য দায়ী। একদল লুটেরা গোষ্ঠী দেশের মালিক বনে গেছে। এদের একটি অংশ বিগত দিনে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে জোরপূর্বক ক্ষমতায় ছিল। ২০২৪-এর অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাদের পতন ঘটেছে। তিনি আরো বলেন, এক বছর পেরিয়ে গেলেও মানুষের অকাক্সক্ষা পূরণ হয়নি। তার প্রধান কারণ হলো ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও ব্যবস্থার বদল না হওয়া। সাধারণ মেহনতি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজব্যবস্থা বদল করতে হবে। কমিউনিস্টরা সে লক্ষ্যে লড়াই করছে। তিনি এ লড়াইয়ে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দুদিনব্যাপী সম্মেলন গত ২২ আগস্ট পুরানা পল্টনের মনি সিংহ সড়কে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কমিটির সভাপতি শামসুজ্জামান হীরার সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাইফুল ইসলাম সমীরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন-সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুজ্জামান লায়েক, সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন আশু, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ত্রিদিব সাহা।

সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুজ্জামান লায়েক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় একদিকে উগ্র ডানপন্থী ও একাত্তরের ঘাতক শক্তির আস্ফালন দেখতে হচ্ছে। অন্যদিকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থরক্ষায় জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি হচ্ছে। তিনি দেশের স্বার্থ ও গণবিরোধী সব জনবিরোধী পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার যে দায়িত্ব নিয়েছে সেই ম্যান্ডেটের মধ্যেই কর্তব্য সম্পাদন করা দেশের জন্য ভালো হবে।

সমাবেশে জলি তালুকদার বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নতুন প্রজন্মের আদর্শবাদী রাজনীতিতে শামিল হওয়ার যে প্রেরণা তৈরি করেছিল একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দুর্নীতিপরায়ণতা ও তথাকথিত কিংস পার্টি প্রকল্পের মধ্য দিয়ে তাদের রাজনীতি বিমুখ করছে। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম আদর্শবাদী, নীতিনিষ্ঠ রাজনীতিতে এগিয়ে এসে জাতীয় স্বার্থরক্ষা ও দেশ গড়ার দায়িত্ব নেবে।

সমাবেশ শেষে পল্টন মোড় থেকে বিজয়নগর পর্যন্ত র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। 

শেয়ার করুন