মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগেই ‘জনগণ তারেক রহমানের দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত ৩ আগস্ট রোববার বিকালে শাহবাগে জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সামনে এখন লড়াই যে বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব দিল্লিতে বসে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনুসের সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারণ করেছেন ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে। গোটা বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করে আছে যে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে।” তার আগে গোটা বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করে আছে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব দেশে ফিরে আসবেনল। তাই না? আমরা সবাই তাই চাই না? উনি আসবেন আমাদের নেতৃত্ব দিবেন, আমাদের পথ দেখাবেন।”
মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন আজকে আমরা এ শপথ গ্রহণ করি, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে এ দেশকে সত্যিকার অর্থেই শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে স্বপ্ন ছিল, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্নগুলোকে আমরা বাস্তবায়িত করি.. একটা সত্যিকার অর্থেই একটা সুখী সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করি।’
‘কারো কাছে মাথা নত করবো না’
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অনেক চেষ্টা করা হচ্ছে বাংলাদেশে বিভক্তি সৃষ্টি করার। আমাদের পাশের দেশে ভারতবর্ষে এ ফ্যাসিস্ট আশ্রয় নিয়েছে-তার লোক নিয়ে সেখান থেকে সে মাঝেমধ্যেই হুমকি দিচ্ছে যে, তারা বাংলাদেশে আক্রমণ করবে। শুধু তাই নয়, এখানে বিভিন্নভাবে গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। আজ এ সমাবেশ থেকে আমাদের শপথ দিতে হবে, আমরা কোনোদিনই হাসিনাকে আর এ দেশে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ দেবো না, আমাদের শপথ নিতে হবে আমরা কারো কাছে কোনোদিন মাথা নত করবো না। আমরা আমাদের দেশকে নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গড়ে তুলবো-এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের তারেক রহমান, সে পথ তিনি দেখাচ্ছেন যে, তিনি কি সেøাগান দিয়েছেন যে, সবার আগে বাংলাদেশ, ওই বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।
‘দেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব কার’ প্রশ্ন রেখে সমবেত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ দায়িত্ব হচ্ছে আপনাদের, এ দায়িত্ব হচ্ছে ছাত্রদের। মেধা এবং বুদ্ধিমত্তার চর্চা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। মেধা ছাড়া আমরা সামনে যেতে পারবো না। জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চা, মেধার চর্চার মধ্য দিয়ে আমাদের সামনে এগোতে হবে। আমাদের সামনে এখন লড়াই যে, বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আমরা সে লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান আগামী দিনে নতুন একটি দেশ গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
শাহবাগ চত্বরে বিকালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ ছাত্র সমাবেশ হয়। শাহবাগ চত্বর এবং তার দুপাশে সড়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সড়কে নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে ছাত্রসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাক নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসার মো. ইয়াহিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান বক্তব্য রাখেন।
এ সমাবেশে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের মধ্যে নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, আকরামুল হাসান, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
