১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার, ৬:০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন


স্টেট বিএনপির অনুষ্ঠানে নেত্রী শাম্মী আকতার
মাসুদরা এখনো ভালো হয়নি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৭-২০২৫
মাসুদরা এখনো ভালো হয়নি বক্তব্য রাখছেন শাম্মী আক্তার


মিডফোর্ডের ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে মাসুদরা এখনো ভালো হয়নি। আমরা মনে করেছিলাম স্বৈরাচারী সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর মাসুদরা ভালো হয়ে গিয়েছে। ৯ জুলাই পরিকল্পনা অনুযায়ী এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে এবং ১২ জুলাই তা মঞ্চস্থ করা হয়েছে। বিশেষ বাহিনী এবং বিশেষ দলের পরিকল্পনাতেই তা করা হয়েছে। তারা জানে নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। নির্বাচন যাতে না হয়, সেজন্যই নৃংশস হত্যাকাণ্ড। বিএনপি মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য, স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত সহ-সম্পাদক এবং সাবেক এমপি শাম্মী আকতার ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি আয়োজিত এক মতবিনিময় সমাবেশে এসব কথা বলেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল হক আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শাম্মী আক্তার। গেস্ট অব অর্নার ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ আব্দুল লতিফ সম্রাট। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির অন্যতম সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাতিন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন সবুজ, মহানগর বিএনপি উত্তরের সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, স্টেট বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপি নেতা বাসেত রহমান, ড. মোশারফ হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলামিন সুমন, স্টেট বিএনপি নেতা ভিপি জসীম, জাহাঙ্গীর হাসাইন, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সৈয়দা মাহমুদা শিরিন স্টেট বিএনপির সাংগঠিক সম্পাদক রইচ উদ্দিন, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আসাদ উল্লাহ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল হক আযাদ, দেওয়ান কাউছার, আশরাফ হোসেন, হুমায়ুন কবীর, বিএনপি নেতা আবু কাইয়ুম, দেলুয়ার হোসেন, শেখ তারেক হাসান, ইঞ্জিনিয়ার মাঈনুদ্দিন, একে এম ফজলুল হক, সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।

শাম্মী আকতার বলেন, রাজধানী ঢাকায় মিটফোর্ডে প্রকাশ্য রাস্তায় একজন মানুষকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ভিডিও ভাইরাল করার পর সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের এই মুহূর্তের প্রাণস্পন্দন এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আমাদের প্রিয়নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিছিল করা হচ্ছে এবং মিছিলে যে ধরনের নোংরা-অশ্লীল স্লোগান উঠেছে তা সভ্যতার পরিপন্থী। তার মানে তারা পরিকল্পিতভাবে এহেন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করছে। এটা নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র। আর যারা পিআর চাচ্ছে, যাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, নির্বাচনে গেলে ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, জামানত বাজেয়াপ্ত হবে এবং এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে বিএনপি ২৮০ আসনের বেশি সিট নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবে, এমন পরিস্থিতি যাদের সহ্য হচ্ছে না, তারাই এমন কর্মকাণ্ড করছে। তারা ৭১ সালে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, এখনো দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। আপনারা চব্বিশেও গাদ্দারি করেছেন। আপনাদের ইতিহাস গাদ্দারির ইতিহাস। গেছিলেন তো লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে। তারপরও বিএনপির বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার কেন চালাচ্ছেন? নিশ্চয়ই আপনাদের হিসাব মিলছে না। আপনারা মনে মনে ভাবছেন যে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে আপনাদের অঙ্গুলি হেলনে। দুদিন পর নির্বাচন হলে তো বিএনপি ক্ষমতা নেবে। তখন তো আপনাদের এই মাস্তানী আর করা চলবে না। কারণ বিএনপি একটি পোড় খাওয়া দল। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল।

আব্দুল লতিফ সম্রাট বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এহেন অবস্থার অবসান ঘটবে দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে। তাই আমরা অবিলম্বে সাধারণ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি যেজন্যে ছাত্র-জনতা অকাতরে জীবন দিয়েছে।

গিয়াস আহমেদ বলেন, বিএনপি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল। আর আওয়ামী লীগ দেশবিরোধী দল। শেখ মুজিব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বলেই শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করেছিলেন, তার কন্যা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, আজকে যারা বড় বড় কথা বলছেন তাদের মনে রাখা উচিত, ৩৬ দিনে বিপ্লব আসেনি, এজন্য বিএনপিকে ১৬ বছর আন্দোলন করতে হয়েছে। যারা হারুণের হোটেলে ভাত খেয়েছে, তারা তো পরে আন্দোলন করতে চাননি। কিন্তু তারেক জিয়ার নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদল এবং সাধারণ ছাত্র-জনতা আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন ভিপি বলেন, আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে অবিচল আস্থাশীল রয়েছি এবং তার বিরুদ্ধে যারা কুৎসা রটাচ্ছে তাদের এই প্রবাসেও চিহ্নিত করে রাখবো।

মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন