৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:০৩:৩৯ অপরাহ্ন


দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৫-২০২৫
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ বক্তব্য রাখছেন গিয়াস আহমেদ


উচ্চতর আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে শপথ করানোর উদ্যোগ না নেওয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি অন্তর্র্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে ২২ মে সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন পার্টি হলে বিক্ষোভ করেন বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

‘সাদেক হোসেন খোকা স্মৃতি সংসদ’-এর যুক্তরাষ্ট্র শাখা আয়োজিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সবুর এবং পরিচালনা করেন মাকসুদ চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ‘আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স’-এর চেয়ারম্যান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ।

অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- মেশারফ হোসেন সবুজ, জসিম ভূঁইয়া, এমএ বাতিন, ফারুক হোসেন মজুমদার, জাহাঙ্গীর সরোয়ার্দী, রিয়াজ মাহমুদ, নাসিম আহমেদ, মোতাহার হোসেন, ড. ইখতিয়ার আহমেদ প্রমুখ।

গিয়াস আহমেদ বলেন, উপদেষ্টা সজিব ভুইয়া এনসিপির প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এনসিপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। তিনি বলেন, নিজের কাছের মানুষকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে সরকারিভাবে এনসিপির কর্মসূচিকে সমর্থন এবং সহযোগিতা করছেন এই উপদেষ্টা। বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে অধিষ্ঠিত করলে নগরবাসীর বিরাজমান সমস্যার সমাধানের পথ সুগম হবে। সেটি এই উপদেষ্টা চাচ্ছেন না। আর এভাবে নিজেই বৈষম্য সৃষ্টি করছেন। গিয়াস আহমেদ বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের নাম সিটি করপোরেশনের নামফলকে চিরদিনের জন্য রাখার জন্য কি মানুষ রক্ত দিয়েছে? তাপসের নাম সিটি করপোরেশনের ফলক থেকে উঠাতে হলে ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। আদালতের রায় অমান্য করে এই উপদেষ্টা স্বৈরাচার খুনি হাসিনাকেই অনুসরণ করছে। গিয়াস আহমেদ জনমনে সন্দেহ দূর করবার জন্য এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন।

অন্যদিকে সর্বশেষ সংবাদ অনুযায়ী মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণে ‘শপথের’ আনুষ্ঠানিকতা বাদ থাকলেও কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। শুক্রবার ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘শপথ কেবল একটা ফরমালিটি। জনতার মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব বর্তায় আগামী কোরবানির ঈদের আগে যাতে বর্জ ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে।’ আমি ঢাকাবাসীকে নিশ্চিত করছি, উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করব। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।

এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ। সেটিও খারিজ হয়েছে। তবুও ইশরাককে শপথ করানোর পদক্ষেপ না নেওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

শেয়ার করুন