৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০২:৪২:৩২ অপরাহ্ন


গণতন্ত্র নির্বাসনে রাখতে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৫-২০২৫
গণতন্ত্র নির্বাসনে রাখতে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে বক্তব্য রাখছেন হেলেন জেরিন খান


বাংলাদেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। আর ষড়যন্ত্র চলছে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে রাখতে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মূহাম্মদ ইউনূসের কাছে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা তিনি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন। আর আমি আমার জন্মস্থান মাদারিপুর থেকেই নির্বাচন করতে চাই। আর সেই নির্বাচনে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। গত ২৬ মে সন্ধ্যায় গুলশান টেরেসে মাদারিপুর জেলাবাসী আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় সংবর্ধিত অতিথি সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইডেন কলেজের সাবেক ভিপি হেলেন জেরিন খান এসব কথা বলেন।

কম্যুনিটির অত্যন্ত পরিচিত মুখ্য নাফিউল ইসলাম পান্নার সভাপতিত্বে ও নাসির উদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আলহাজ্ব বাবর উদ্দিন, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. ওয়ালি খান, জালাল উদ্দীন, মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম মিয়া, বাচ্চু চৌধুরী, প্রফেসর নূরুল আমিন পলাশ, মজিবুর রহমান, কাজী বোরহান আহমেদ, আক্তার হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, নাসির উদ্দিন আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরওয়ারর্দী, নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ আলী, গোলাম কিবরিয়া, আকতার হোসেন, মোতাহার হোসেন, নুরুজ্জামান সর্দার, মাহবুব আলম, জগলুল খান, আলমগীর খান, আনোয়ারুল ইসলাম চুন্নু, সাংবাদিক গোলাম মাওলা, মোশাররফ হোসেন, সাফায়েত হোসেন খান, গোলাম কুদ্দুস, জিয়াউর রহমান টিটু, আবুল কালাম খান, মেজবাউদ্দীন বাবুল, কায়কোবাদ খান, মশিউর রহমান টসর প্রমুখ।

প্রধান অতিথি হেলেন জেরিন খানকে ফুলেল অভিনন্দন জানান রুবাইয়া সাবাহ ও আরাবী আলমগীর।

প্রধান এবং সবির্ধিত অতিথি হেলেন জেরিন খান আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রবাসে এসেও আমি একখন্ড মাদারিপুর দেখতে পেলাম। মনে হচ্ছে আমি মাদারিপুরে আছি। আমি এসেছি আপনাদের কথা শুনতে। তিনি বলেন, আমি কিছু পাওয়ার জন্য রাজনীতি করি না। আমি আদর্শের জন্য রাজনীতি করি। পছন্দ করি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সততার রাজনীতি, বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীনতা, আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কর্মকান্ড। আমি মনে করি তারেক রহমান রাজনীতিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়িয়ে যাবেন। তিনি বলেন, আমার জীবনে তিনজন মানুষ গুরুত্বপূর্ণ। একজন ছিলেন আমার বাবা। যিনি আমাকে ছোট বেলায় অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতেন এবং অংশগ্রহণে সহযোগিতা করতেন। দ্বিতীয় আমার ভাইয়া। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমাকে সব সময় দিক নির্দেশনা দেন এবং তৃতীয় জন হচ্ছে আমার স্বামী। বিয়ের পর তিনিই আমাকে অর্থ দিয়ে সবসময় পাশে রয়েছেন। আরেকজনের কথা স্মরণ করছি আমার আব্বার বন্ধ সাবেক মন্ত্রী মরহুম মান্নান শিকদার। তিনি আরো বলেন, রাজনীতি ভোগের জায়গা নয়, রাজনীতি হলো ত্যাগের জায়গা। আমি ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। আমার রাজনীতি হচ্ছে মাদারিপুরবাসীর জন্য। আমি মাদারিপুরবাসীর জন্য কাজ করতে চাই। মাদারিপুরকে আমি দুর্নীতিমুক্ত জেলায় পরিণত করতে চাই। কারণ আমি দুর্নীতিকে ঘৃণা করি। পতিত সরকারের আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিলো, সর্বত্র চাঁদবাজি ছিলো, ছিলো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। আমি মাদারিপুরকে সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজ মুক্ত করতে চাই। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের ধন্যবাদ জানান, রেমিটেন্সের জন্য। তিনি বলেন, আপনাদের রেমিটেন্সির কারণে আমাদের অর্থনীতি সচল। তিনি দেশের উন্নয়নে তারেক রহমানের ৩১ দফার কথা উল্লেখ করেন।

শেয়ার করুন