জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র জনতার অন্যতম একটা দাবী ছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের। অবশেষে সে সিদ্ধান্তে পৌছেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ শনিবার রাতে (১০ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচারকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি পড়ে শোনান আইন উপদেষ্টা।
১০ মে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরী বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিং /ছবি পিআইডি
বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
১০ মে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরী বৈঠক/ ছবি পিআইডি
এর পাশাপাশি, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।