৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:২৯:২৯ অপরাহ্ন


মহান বিজয় দিবস পালন
নতুন জয়ে নতুন করে দেশ গড়ার প্রত্যয়
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১২-২০২৪
নতুন জয়ে নতুন করে দেশ গড়ার প্রত্যয় মহান বিজয় দিবসের র‌্যালি


গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়েছে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ এসেছে। ৭১ সালে এই সুযোগ এসেছিল, কিন্তু কাজে লাগানো যায়নি, ৯০ সালেও এসেছিল তা-ও কাজে লাগানো যায়নি। এবার নিশ্চিয় কাজে লাগানো যাবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই সুযোগ কাজে লাগাতে সবার সহযোগিতা করা উচিত। এই সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে পুরো বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে আর কেন ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি দূতাবাস, রাজনৈতিক সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং আঞ্চলিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন

গত ১৬ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন নিউইয়র্কে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, বরেণ্য ব্যক্তিরা এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

অনুষ্ঠানটি শুরু হয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। আলোচনা পর্ব শুরুর আগে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদরা এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বীর শহিদদের স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে প্রাপ্ত ‘গণমুক্তি অনিবার্য’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে জাতি-ধর্মবর্ণনির্বিশেষে একযোগে কাজ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি জুলাই-আগস্ট অভ্যুথানের মাধ্যমে যে বৈষম্যবিহীন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। 

আগত অতিথিদের আলোচনা শেষে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ ও দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আমাদের সূর্যসন্তানরা দেখেছিলেন, যে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারা অমূল্য প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন, তা বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সামঞ্জস্য বর্ণনা করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নির্মূলের মাধ্যমে যে বাংলাদেশ সৃষ্টির স্বপ্নে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন সেই একই প্রেরণায় ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। তিনি গণঅভ্যুথানের উত্তাল সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমর্থন এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারা গণঅভ্যুত্থানকে বেগবান করতে তাদের অবদান স্মরণ করেন এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এছাড়াও তিনি গণঅভ্যুথানের চেতনায় অদম্য বাংলাদেশ ২.০ গড়ে তোলার জন্য সব প্রবাসী বাংলাদেশিকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। নানা ধরনের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, অর্থনৈতিক যে সংকট সৃষ্টি হয়েছিল তা মোকাবিলায় ইতিমধ্যে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার সাফল্য প্রদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তিনি প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান। এই মুহূর্তে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তা মোকাবিলায় সবাইকে একতাবদ্ধ থাকার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্ক ১৬ ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদায় ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করে। জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। ৭১-এর সব শহিদ ও ২০২৪ জুলাই-আগস্টে সব শহিদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে ‘গণমুক্তি অনিবার্য’ নামক একটি প্রামাণ্য ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং সব বীরাঙ্গনা, রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, মহান মুক্তিযুদ্ধের সব স্তরের নেতাকর্মীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও আন্তরিক সচেষ্ট থাকতে হবে। তিনি সবাইকে মহান বিজয় দিবসের উষ্ণ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। কনসাল জেনারেল বলেন, ২০২৪ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় সংযোজন করেছে। ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা মেরামত তথা সংস্কারের এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং যারা এই অভ্যুত্থানে আহত হয়েছেন, তাদের আশু সুস্থতা কামনা করেন। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের জন্য তিনি সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রে বাসবাসরত প্রবাসী ভাই-বোনদের অধিকতর অবদান রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান। 

উন্মুক্ত আলোচনায় নিউইয়র্কস্থ বীরমুক্তিযোদ্ধারা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং বিজয় দিবস উপলক্ষে তারা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন। 

 অনুষ্ঠানে ৭১-এর সব শহিদ, শহিদ বুদ্ধিজীবী, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ২৪-এর জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে কমিউনিটির শিল্পীদের দ্বারা মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। 

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কমান্ড কাউন্সিল মহান বিজয় দিবস উদ্্যাপন করেছে। গত ১৫ ডিসেম্বর বিকালে জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি সেন্টারে কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকিত চৌধুরী এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দোয়া, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত পরিচালনা করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন কুইন্স ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, আলহাজ এম উদ্দীন, মোল্লাহ এম জামান, হাজি আব্দুর রহমান, শামসুল হক ও গিয়াস মজুমদার।

অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, প্রবাসে সকলে দলমত নির্বিশেষে একসাথে কাজ করতে হবে। দেশের জন্য কাজ করতে হবে। এখানে মতভেদ নয়। আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসি। দেশের জন্য কাজ করবো। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হলে আমরা সবাই রুখে দাঁড়াবো। স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিটি আন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। এখনো আছে। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সূর্যসন্তান। তাদের জন্য দোয়া কামনা করছি।

ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাস

এক বর্ণিল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর ভিয়েতনামের হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। 

ব্যানার, ফেস্টুন, ফুল এবং রঙিন আলোকসজ্জায় সাজে সজ্জিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ভিয়েতনামে বসবাসরত বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির প্রবাসী বাংলাদেশি, হ্যানয়ে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তি এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ অংশগ্রহণ করেন। সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উদযাপন শুরু হয় এবং বিকেলে খেলাধুলা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উদযাপনের চূড়ান্ত পর্বে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা; মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা এবং মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের। তিনি আরো শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহিদদের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধে মহান বিজয় আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। এর চেতনা আমাদের সব উন্নয়ন অগ্রযাত্রার মূলমন্ত্র। বিশ্ববাজারে পোশাকশিল্পে নেতৃত্ব প্রদান এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আজ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এই বিজয়ের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি বৈষম্যহীন উন্নত, সমৃদ্ধ ও আরো মর্যাদাশীল বাংলাদেশ গড়তে আমাদের একযোগে কাজ করে যাওয়ার বিকল্প নেই।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। বক্তব্যের শুরুতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, দুই লাখ মা-বোন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানের আগত অতিথিদের বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি মহান বিজয় দিবসের গৌরবময় অর্জনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রজন্মের আকাক্সক্ষা ধারণ করে দেশমাতৃকার উন্নয়নের জন্য প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার অনুরোধ করেন। 

আলোচনা পর্ব শেষে খেলাধুলা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। অবশেষে আগত অতিথিদের মধ্যে দেশীয় খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। উল্লেখ্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে ভিয়েতনামে সরকারি সফরে রয়েছেন।

নিউজার্সি বিএনপি নর্থ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নিউজার্সি স্টেট (নর্থ) ইউএসএর উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৪ ডিসেম্বর প্যাটারসনের বেঙ্গল ইন্স্যুরেন্সের হলরুমে নিউজার্সি বিএনপির সভাপতি সৈয়দ জুবায়ের আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হোসেন পাঠান বাচ্চ্‌ু। সাভায় উপস্থিত নেতাকর্মীকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালে শুভেচ্ছা জানান বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন। দুই পর্বের সভায় প্রথম পর্বে ছিল নিউজার্সি বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা আলাউর খন্দকার ও নিউজার্সি বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের বাংলাদেশ গমন উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা ও দ্বিতীয় পর্বে ছিল মহান বিজয় দিবসের আলোচনা। শুরুতে কালামে পাক থেকে তিলাওয়াত করেন নিউজার্সি বিএনপি সহ-সভাপতি সৈয়দ খালিদ আলী। বক্তব্য রাখেন নিউজার্সি বিএনপি প্রধান উপদেষ্টা আলাউর খন্দকার, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা চৌধুরী নিপন, সহ-সভাপতি মো. খলিল, কামরান হাদি, সৈয়দ খালিদ আলী, এবাদ চৌধুরী, এনাম চৌধুরী, তারেক খান, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহসিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম, মাসুম চৌধুরী, জুয়েল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নুল হক, প্রচার সম্পাদক রাহাদুল হাসান রুহেল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, জাকিরুল চৌধুরী হিমেল, বিএনপি নেতা রেজোয়ান আহমেদ, হিরা মিয়া, রহমত হোসেন রকিব।

শেয়ার করুন