৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৮:৫৬:৫৪ পূর্বাহ্ন


মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ
নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির বনভোজনে মিলনমেলা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৯-২০২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির বনভোজনে মিলনমেলা বনভোজনে অতিথি ও আয়োজকবৃন্দ


১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি উত্তর আমেরিকা ইনক এর বনভোজন আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের হ্যাক শেয়ার স্টেট পার্কে প্রায় ৭০০ লোকের সমাগম ঘটেছিল এই বনভোজনে। এরমধ্যে ৬ শতাধিক প্রবাসী নারায়ণগঞ্জবাসীর উপস্থিতি বনভোজনকে একখণ্ড নারায়ণগঞ্জে পরিণত করে। নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেন্সিলভেনিয়া ছাড়াও ভার্জিনিয়া এবং বাফালো শহর থেকে নারায়ণগঞ্জের অভিবাসীরা এই বনভোজনের যোগ দেওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম। এতো বিপুল লোকের সমাগমও অতীতে দেখা যায়নি। ফলে বনভোজন পরিণত হয় মিলনমেলায়। 

বনভোজনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক নূর ই আজম (বাবু) এবং বেলুন উড়িয়ে বনভোজনের উদ্বোধন করেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা মির্জা ফরিদ উদ্দিন।

এই বনভোজনের সংগঠনের সাবেক উপদেষ্টা এবং কমিটির বিশিষ্ট নেতারা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি নিউইয়র্ক এর ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আখতার হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম ও সাবেক কোষাধক্ষ্য মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা কাজী আজারুল হক মিলন, সিনিয়র উপদেষ্টা মোহাম্মদ মোহসিন, উপদেষ্টা শামসুল আলম লিটন, মোহাম্মদ ইসমাইল ও নাসির উদ্দিন চঞ্চল।

বনভোজন সফল করতে বিশেষভাবে তৎপর ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা জামাল টিটু, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন টিটু, বনভোজন কমিটি ২০২৪-এর আহবায়ক মোস্তফা জামাল শামীম, সদস্য সচিব সোহেল আহমেদ, সদস্য এম. আজিজুল হক, মোহাম্মদ ইমাম, কোহিনুর আক্তার এবং পৃষ্টপোষক এসএম সায়েম মিঠু, রাফাত হোসেন, দোলন খন্দকার ও আশিক কবির, সেলিম আহমেদ ও শওকত হোসেন (শ্যামল)। 

এই বনভোজনে ছিল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আকর্ষণীয় রাফেল ড্র এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নাচে-গানে প্রবাসী নারায়ণগঞ্জবাসীরা সবুজ অরণ্যের ছায়া নিবিড় পরিবেশকে মাতিয়ে তোলেন। এবারের বনভোজনের জন্য অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়া হয়নি, যা ছিল আলোচনার বিষয়। 

র‌্যাপলে ড্র-তে প্রথম পুরস্কার ছিল ঢাকা-নিউইয়র্ক ঢাকা বিমান টিকেট। এই টিকেটের স্পন্সর ছিল নাভিলা জুঁই। দ্বিতীয় পুরস্কার ছিল স্বর্ণালংকার, এর স্পন্স ছিল মাহফুজ আহমেদ মনসুর। তৃতীয় পুরস্কার ছিল আইফোন, এর স্পন্সর ছিল খামারবাড়ি সুপার মার্কেট ও আফতাব সুপার মার্কেট। অন্যান্য পুরস্কার হচ্ছে চতুর্থ পুরস্কারঃ ৬৫ ইঞ্চি টেলিভিশন, সৌজন্যঃ এস.এম. কে. ইকবাল (বিএ ডিষ্ট্রিবিউটার), ষষ্ঠ পুরস্কারঃ ল্যাপটপ সৌজন্যঃ শিমুল খন্দকার, সপ্তম পুরস্কারঃ ল্যাপটপ, সৌজন্যঃ শওকত হোসেন (শ্যামল), অষ্টম পুরস্কারঃ ল্যাপটপ, সৌজন্যঃ সমাজসেবক দুলাল বেহেদু, নবম পুরস্কারঃ টেলিভিশন, সৌজন্যঃ খালেদ আক্তার, ও দশম পুরস্কার, ল্যাপটব, সৌজন্যঃ বেলায়েত হোসেন বেলাল (বাংলা ট্রাভেলস)। 

এ ছাড়া মহিলাদের বালিশ নিক্ষেপ খেলায় তিনটি পুরস্কার ছিল। এর (শাড়ি, ব্যাগ ও পারফিউম) এর স্পন্সর ছিল নাদিয়া আজম (রিংকু)। 

বনভোজন সফল করতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন সংগঠনের সহ-সভাপতি-রুহুল আমীন জুয়েল, সহ-সভাপতি-ডাক্তার কাজী জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক- খালেদ আকতার, যুগ্ম-সম্পাদক- ডাঃ সাউদা সাবরিন পম্পি, সাংগঠনিক সম্পাদক-মোস্তাকিম আবিদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক-মোঃ আতাউর রহমান মিঠু, কোষাধ্যক্ষ-মহসিন মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক-নিপা জামান, ক্রীড়া সম্পাদক-শাহাদাৎ হোসেন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক-কোহিনুর আক্তার কলি, আপ্যায়ন সম্পাদক-ইমাম সৈয়দ হায়দার এবং নির্বাহী সদস্য দর্পণ কবীর, নিতাই দাস, মোঃ আনিসুর রহমান, এসএম কে. ইকবাল, নিপা আক্তার, মুহাম্মদ পারভেজ ও দুলাল গুপ্ত।

শেয়ার করুন