জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী একটি ব্যতিক্রমী সংগঠন। এই সংগঠনের সব মতাদর্শের মানুষ রয়েছে। রয়েছে যারা আওয়ামী লীগ করেন তারা, যারা বিএনপি করেন তারা, যারা জাতীয় পার্টি করেন তারাসহ অন্য দলের সমর্থকরা। এখানে মতের অমিল থাকতে পারে, কিন্তু সাংগঠনিক স্বার্থে সবাই এক এবং অভিন্ন। যে কারণে তাদের পক্ষেই অসম্ভবে সম্ভব করা। হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি পরিহার করে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্যে তারা প্রতি বছর জাতীয় শোক দিবস এবং জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে আসছেন।
জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী অন্যান্য বছরের মতো এবারও মিলিমিশে একই আমব্রেলার নিচে এসে পালন করলো জাতীয় শোক দিবস। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের আয়োজনটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ এবার ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করেন এবং ভারত চলে যান। এই পরিস্থিতিতে দেশের ন্যায় প্রবাসেও উত্তেজনা বিরাজ করছিল। জাতীয় শোক দিবস পালন করা হবে কি-হবে না তা নিয়ে দেশে শঙ্কা ছিল, কিন্তু প্রবাসে ছিল না। এলাকাবাসীও ছিলেন প্রত্যয়ী।
একযুগেরও বেশি সময় ধরে তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে আসছে। এবারো পালন করা হয় গত ১৫ আগস্ট। অনুষ্ঠানটি জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টের সামনে। সংগঠনের সভাপতি সকিল মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলম নমির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আহ্বায়ক মীর নিজামুল হক, সদস্য সচিব মামুন মিয়াজি, বারী হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আসিফ বারী টুটুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম ফজলুল হক, সহযোগিতায় ছিলেন মোহাম্মদ মানিক বাবু, এম রহমান, কবির চৌধুরী জসী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, সংগঠনিক সম্পাদক আফতাব জনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম হোসেন বিপ্লব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আলমগীর খান আলম, ক্রীড়া সম্পাদক ইফতি খান টিপু। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হারুণ ভুইয়া, ফাহাদ সোলায়মান. ড. রফিক আহমেদ। পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন মইনুল ইসলাম, আসেফি বারী টুটুল, শাহ জে চৌধুরী, মহি উদ্দিন দেওয়ান, আলমগীর হোসেন, মফিজুর রহমান, নূরুজ্জামান সর্দার, শাখাওয়াত বিশ্বাস, সোহেল গাজী, খোরশেদ খন্দকার, কামাল ভুইয়া, রফিকুর রহমান, ইকবাল হোসেন, সৈয়দ এম কিবরিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানকে সফল এবং সার্থক করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মীর নিজামুল হক, শাকিল মিয়া এবং মোহাম্মদ আলম নমি।
আলোচনা শেষে বিতরণ করা হয় খাবার। শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করেন। এছাড়াও বিতরণ করা হয় চারা গাছ এবং জায়নাজ।