বাংলাদেশে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে হত্যা, হামলা, মামলা এবং নির্যাতনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি, নিউইয়র্ক উত্তর এবং দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে গত সপ্তাহে লাগাতার কর্মসূচি পালন করেছে। এসব কর্মসূচি পালন করা হয় টাইমস স্কয়ার, জাতিসংঘের সমানে, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট, জ্যাকসন হাইটসসহ অন্যান্য বাংলাদেশি অধুষিত এলাকায়। এছাড়াও ওয়াশিংটন ডিসিসহ অন্যান্য স্টেটেও প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির বিভিন্ন স্টেট কমিটি। এসব প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নাল আবদিন ফারুক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট, জিল্লুর রহমান জিল্লু, গিয়াস আহমেদ, মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, নিউইয়র্ক দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, নিউইয়র্ক উত্তর বিএনপির সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকন, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, এমদাদুল হক কামাল, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, আনোয়ার হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়া, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম ফারুক শাহীন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর এম আলম, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম খান, ইঞ্জিনিয়ার মাঈন উদ্দিন, রুহুল আমিন, জাফর তালুকদার, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, ভিপি জসীম, জাফর তালুকদার, বাসেত রহমান, আব্দুস সবুর, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সাইদ আহমেদ, এম এ বাতিন, খলকুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহমেদ, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক বদরুল হক আজাদ, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, দেওয়ান কাওসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ আলী মন্ডল, মাজহারুল ইসলাম জনি, বাদল মির্জা, মনির হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে উঠেছে। যে কোনো সময় সে পদত্যাগ করতে পারে। তিনি ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ, ছাত্রলীগ, বিজিবির গুলিবর্ষণের নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং সঙ্গে বিএনপির নেতাদের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে তাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেন।
জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, বাংলাদেশে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তাতে শেখ হাসিনার ক্ষমতার মসনদ কেঁপে উঠেছে। স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়িয়েছে। এবার আর তার রক্ষা হবে না।
গিয়াস আহমেদ বলেন, পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসকই টিকে থাকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও টিকে থাকতে পারবে না। ছাত্রদের আন্দোলনে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। ইচ্ছা করলেও ভারত তাকে এবার রক্ষা করতে পারবে না।
মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া বলেন, শেখ হাসিনার বিদায় ঘণ্টা বেজে উঠেছে, পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তার পদত্যাগ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ এবং রাজপথে নেমে এসেছে।
জাহাঙ্গীর এম আলম গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী, আমির খসরু মাহমুদ, নজরুল ইসলাম খান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ বিএনপির সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন।