রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখায় বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয় সম্প্রতি। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী হতাহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং ক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া পুরো দেশে-ও এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়। এরপরের দিনই রাতে বিএনপি-জামায়াতসহ ৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরই ধারাবাহিকতায় পরেরদিন গত ২৩ জুলাই বুধবার আরও ১৩টি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির (পতিত আওয়ামী লীগ) নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।’ এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যকে আরও দৃশ্যমান করা দরকার। উভয় বৈঠকেই চলমান অস্থিরতা কাটিয়ে আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা ও পরামর্শ চেয়েছেন ড. ইউনূস।
যা যা বললেন দলের নেতারা
পুরো বৈঠকের চুলচেরা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় প্রায় সবদলই জোর দিয়েছে দ্রুত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বলা হয় যে, এই সরকার বিপদে পড়লেই রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকে। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিএনপিসহ সমমনাদের সবক’টিই জানিয়ে দিয়েছেন সংস্কার ও নির্বাচন ঠিকভাবে হবে কি না, এসব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংশয় রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে এনসিপির প্রতি বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। ফলে রাজনৈতিক বিভাজন বাড়ছে। সরকার নিরপেক্ষতা হারালে সঠিক নির্বাচন সম্ভব নয়। আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয় যে, দিন যত যাচ্ছে দেশ অরাজকতার দিকে এগোচ্ছে। কারণ সরকার দুর্বল। অবাধ নির্বাচনের জন্য সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বারবার সংলাপ করতে হবে। সরকারের নিরপেক্ষতা নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ...জানাতে হলো ছোটোদের কিন্তু কেনো?
সম্প্রতি লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হয়। বৈঠকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল দু-ই প্রধান ব্যক্তির ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক। কিন্তু এধরনের বৈঠকের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশের বাকি রাজনৈতিক দলকে অপমান করা হয়েছে বলে মনে করা হতে থাকে। আর এবার তা-ই সে অপবাদের হাত থেকে রেহাই পেতে কৌশলে সুসংবাদ জানালেন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে। এবার আর বড়ো বড়ো দলের নেতাদের সাথে একা বা যৌথ বৈঠকে বলা হয়নি। অপেক্ষাকৃত কমশক্তির দলগুলির কাছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এতে ছোট দলগুলি কিছুটা পুলকিত বোধ করেছে সত্য। তাদের সাথে বৈঠকে আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন বলে প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফরের) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ১৩টি দল এবং একটি জোটের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন তিনি। যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলনে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফরের) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, “আমি আনন্দের সাথে ঘোষণা করতে চাই- প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে বলেছেন, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের একটা সুনির্দিষ্ট সময়সীমা, তারিখ উনি (মুহাম্মদ ইউনূস) ঘোষণা করবেন।
তাহলে কি দ্রুত নির্বাচন....কিন্তু কেনো?
ধারণা করা হচ্ছে হয়তবা অগাস্টের শুরুতেই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা যাচ্ছে। এমনটাই আশা করছেন অনেকে। প্রশ্ন হচ্ছে কিন্তু কেনো? যেখানে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি বারবার চলতি বছরের ডিসেম্বরের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছিল, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা বারবারই কৌশলী উত্তর দিয়ে পাশ কেটে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই তিনি ছোট দলগুলির কাছে জানালেন যে, অল্প কয়েকদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ তিনি দিতে যাচ্ছেন?
কিন্তু কোনো এত্তো দ্রুত মত পাল্টালেন..
কারো কারো ধারণা ছিল প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস আগামী বছর জুনের আগে কোনোভাবেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেনই না। একারণে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ধরে নেয় প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস তাহলে হয়তবা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন। এবং এবিষয়টি হয়তবা জানা যাবে নভেম্বর ডিসেম্বরের আগে। কিন্তু এভাবে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
আন্তর্জাতিক চাপ?
কারো কারো মতে, বাংলাদেশে একটি দ্রুত নির্বাচনের আয়োজনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চাপ দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি এ্যান জ্যাকবসন। গত সপ্তাহে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) সঙ্গে সৌজন্য স্বাক্ষাত করতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বোল্ডিন। এসব বৈঠকে দ্রুত নির্বাচনের ব্যাপার আলাপ আলোচনা ছিল। তবে একটি সূত্র জানায় প্রধান উপদেষ্টা বুঝতে পারছেন যে দিন যতোই যাচ্ছে ততই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়ছে। এর প্রথম কারণ হচ্ছে আমেরিকায় এখন ট্রাম্প প্রশাসন। সহজেই সব কিছু এখন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অনুকূলে যাচ্ছে না। এমনকি দেখা যাচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ৩৫ শতাংশ শুল্ক নিয়ে দরকষাকষিতে এখন আর শুকনো কথা চিড়া ভিজছে না। ট্রাম্প কিছুতেই ড. ইউনুসের সম্মানকে প্রাধান্য দিচ্ছে না। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ৩৫ শতাংশ শুল্ক নিয়ে দরকষাকষির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। আবার দেখা গেছে এতোদিন তারা ভেবেছিল ড. ইউনুসের ব্যক্তিগত কারিসমা দিয়ে ট্রাম্পকে মানিয়ে নিতে পারবেন, তাদেরও মোহ ভঙ্গ হয়েছে ।
দেখা গেলো বাংলাদেশি পণ্যে বাড়তি শুল্ক কমানোর দর-কষাকষির জন্য লবিস্ট নিয়োগ করার চেষ্টা করছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এমন তথ্য দিয়ে সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেছেন, আমরা লবিস্ট নিয়োগে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন এসব বিষয়গুলির এখন জনসন্মুখে চলে আসছে যে দেশের চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক খাতকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অরাজনৈতিক সরকারের চাদর দিয়ে মোকাবিলা করতে পারবেন না। একারণের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্রুত নির্বাচন দিয়ে একটি রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেওয়াকে অপেক্ষাকৃত বেটার বলে মনে করছেন এবং দ্রুত সড়ে পড়তে চান।
দেশের ভেতরেও অশান্ত অনৈক্যে ভরা
সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখায় বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী হতাহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং ক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। পুরো দেশে অস্থিরতা তৈরি হয়। এরপর ২২ জুলাই মঙ্গলবার রাতে বিএনপি-জামায়াতসহ ৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ জুলাই বুধবার আরও ১৩টি দলের সঙ্গে বৈঠক হলো। উভয় বৈঠকেই চলমান অস্থিরতা কাটিয়ে আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা ও পরামর্শ চেয়েছেন ড. ইউনূস। কারো কারো মতে এধরণের পরিস্থিতিতে দলমত নির্বিশেষে সকলেই দেশে একটি রাজনৈতিক সরকারের অভাব অনুভব করেছেন। বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাকে নাড়া দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি এমন একটি দুর্ঘটনার আগেও দেশে বেশ রাজনৈতিক অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়। একারণে বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির (পতিত আওয়ামী লীগ) নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।’ এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যকে আরও দৃশ্যমান করা দরকার।
শেষ কথা
‘জুলাই কেন ‘মানি মেকিং মেশিন’ হবে, এমন প্রশ্ন রেখেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র ও সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা। তিনি বলেন, ‘জুলাই অনেক বড় অভিজ্ঞতা। মানুষ অবিশ্বাস্য লড়াই করেছে। আমার মাথায় আসেইনি যে এটা দিয়ে টাকা-পয়সা ইনকাম করা যায়! আমি মুখপাত্র হওয়ার পর আবিষ্কার করছি, এটা দিয়ে অনেকে অনেক কিছু করছে। টেন্ডার-তদবির বাণিজ্য করছে, ডিসি নিয়োগ করছে। এগুলো অহরহ করেছে। এর আগে এটা নিয়ে ধারণা ছিল না। জুলাই আন্দোলনকে কেন মানি মেকিং মেশিন করব। আনফরচুনেটলি সেটা হয়েছে। গত ২৭ জুলাই রোববার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা করেন।
পুরো খবরটি নেওয়া একটি গণমাধ্যম থেকে। এতে দেখা যায় যে, কান্নাজড়িত কন্ঠে উমামা জানান, অন্যের ক্ষতি করার ইচ্ছা তার নেই, অন্যকে অসম্মান বা কষ্ট দেওয়ার ইচ্ছাও নেই।’
ঘটনাটি ঘটেছে অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার কর্তৃক নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে-এমন আশ্বাস দেওয়ার অনেকে পরে। তবে একথা ঠিক যে, সাধারণ হাজার হাজার নিংস্বার্থ অবুঝ ছাত্র-শ্রমিক-জনতার রক্তে ভেজা ২০২৪ সাথে জুলাই বিপ্লব। এই আত্মত্যাগের কথা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেশ গর্ভ ভরেই দেশে বিদেশে জোরে সোরেই বলতেন। সে-ই জুলাই বিপ্লবীদের নেতা বলে পরিচিতদের একটি বড়ো অংশকে নিয়ে এখন দেশে জুড়ে নানান বদনাম অপবাদ দুর্নামের ঢেউ। চাঁদাবাজ, জমি দখল হেন বিষয় নেই এমন অল্প বয়সের তরুণরা জড়িত হযে পড়ছে না..। কারো কারো মতে, এসব বিষয়গুলি নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিব্রতবোধ করছেন। আর এসব কারণে ধারণা করা হচ্ছে তিনি দ্রুত একটি রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়ে সরে পড়তে চান। বলাবলি হচ্ছে, আর পারছেন না বা সামলাতে পারছে না প্রধান উপদেষ্টা। এখন দ্রুতই সরে পড়তে চান তিনি।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, যদি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা ঘোষণা করা হয় তাহলে ধরে নিতে হবে একধরনের রাজনৈতিক হিসাব। আর যদি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয় তাহলে আরেক হিসাবে বাংলাদেশে সামনের দিনগুলি চলবে। এখন দেখা যাক আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ কবে দেওয়া হয়...। বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাট ফ্যাক্টর..।