সময়মতো নির্বাচন না হলে গৃহযুদ্ধ হতে পারে


সালেক সুফী , আপডেট করা হয়েছে : 23-07-2025

সময়মতো নির্বাচন না হলে গৃহযুদ্ধ হতে পারে

বাংলাদেশের বিদ্যমান অবস্থায় সময় মতো নির্বাচন না হলে গৃহযুদ্ধ হতে পারে। বর্তমান সরকার বুঝে বা হয়তো না বুঝে দেশকে সেদিকে ঠেলে দিচ্ছে। সর্বশেষ গোপালগঞ্জের ঘটনা সরকার আন্তরিক থাকলে এড়াতে পারতো সেটি ভাবার যথেষ্ট যুক্তিসংগত কারণ আছে। একটি নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দল সরকারের দৃশ্যমান পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ১৯৭২ সংবিধান ছুড়ে ফেলার মতো উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে যুদ্ধের উসকানি দিয়ে আওয়ামী লীগের দুর্গম দুর্গে আস্ফালন করতে গেলে সংঘাত হবে অনিবার্য ছিল।

সরকার আন্তরিক হলে পরিস্থিতি আঁচ করে সংঘাত এড়াতে পারতো। তাহলে বিশৃঙ্খলা হতো না। সেনাবাহিনী জনগণের ওপর গুলি চালানোর প্রয়োজন হতো না। জুলাই-আগস্ট ২০২৪ হত্যাযজ্ঞের আদেশ যদি তথাকথিত অভিযোগের ভিত্তিতে শেখ হাসিনা দিয়ে থাকে, তাহলে এবার গোপালগঞ্জের সেনাবাহিনীকে গুলি চালানোর আদেশ কে দিয়েছে? 

পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন যখন অত্যাসন্ন তখন এ ধরনের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অন্ধকারের শক্তিকেই কি মাছ শিকারের সুযোগ করে দেওয়া হলো না? বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি-সবাই বলছে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগকেই নাকি পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার কাদের স্বার্থ রক্ষা করছে?

কিছুদিন দেশ উত্তাল ছিল মায়ানমারকে করিডোর দেওয়া আর চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের কাছে লিজ দেওয়া বিতর্কে। এখন কিন্তু সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে গোপনে বাণিজ্যচুক্তি করেছে। জাতিসংঘকে বাংলাদেশে মানবাধিকার কমিশন দফতর করার অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো নিয়ে কিন্তু কোনো উচ্চবাচ্য দেখা যাচ্ছে না। সবাই এখন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উদগ্রীব। বিএনপি হয়তো ধরেই নিয়েছে নির্বাচন হলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করবে। কিন্তু দেশ-বিদেশে গুটিবাজরা চাইছে তাঁবেদার সরকার। ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান-অপদস্ত করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জনকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে। সেদিকে কিন্তু কারো ভ্রুক্ষেপ নেই। 

বর্তমান পরিস্থিতি চলমান থাকলে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাবে। তাহলে কিন্তু আম-ছালা দুটোই যাবে। সংস্কার করে যারা হাপিত্যেশ করছেন, তাদের জন্যও নির্বাচন একমাত্র সমাধান। আর যারা ১৯৭২ সংবিধান ছঁড়ে ফেলতে চান, তাদের কাছে প্রশ্ন নির্বাচিত সংসদ ছাড়া কীভাবে সংবিধান সংস্কার বা নতুন করে রচনা করা যাবে? ইতিহাস চলে আপন গতিতে। কেউ নায়ক হয়, কেউবা খলনায়ক। আমি দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে দারুণ উদ্বিগ্ন। জুলাই-আগস্ট ২০২৪ জনগণের আত্মত্যাগ বিফলে যাচ্ছে। দেশ এখন ক্ষুদ্র স্বার্থে বহুদা বিভক্ত।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)