ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে কৃষি ও হোটেল খাতে অভিবাসন অভিযানে সাময়িক বিরতি


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 18-06-2025

ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে কৃষি ও হোটেল খাতে অভিবাসন অভিযানে সাময়িক বিরতি

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষি, মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, রেস্টুরেন্ট এবং হোটেল খাতে অভিবাসন অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। গত ১৪ জুন ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সাম্পশ্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)-এর অভিযান বৃদ্ধি পেয়েছিল। হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এবং ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির মূল রচয়িতা স্টিফেন মিলার বলেছিলেন, এখন থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ হাজার অভিবাসীকে আটক করা হবে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম পাঁচ মাসে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৬৫০ জন। তবে গত ১২ জুন বৃহস্পতিবার আইসের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের কর্মকর্তা টেটাম কিং এক নির্দেশনায় বলেন, কৃষি, হোটেল ও রেস্টুরেন্টশিল্পে অভিযান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এ নির্দেশনা প্রেসিডেন্টের নিজস্ব উদ্বেগ থেকেই এসেছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন বলেন, আমরা প্রেসিডেন্টের নির্দেশ মেনে চলব এবং দেশের রাস্তাগুলোকে অপরাধী অবৈধ অভিবাসীদের থেকে মুক্ত রাখতে কাজ চালিয়ে যাবো।

ট্রাম্প নিজেও তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, আমাদের চাষিরা এবং হোটেল খাতের মানুষজন বলছেন, আমাদের আগ্রাসী অভিবাসন নীতি দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত কর্মীদের হারিয়ে দিচ্ছে, যাদের বিকল্প খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তিনি আরো বলেন, বাইডেনের বোকামিপূর্ণ ‘ওপেন বর্ডার’ নীতির কারণে দেশে ঢুকে পড়া অপরাধীরা এসব চাকরির জন্য আবেদন করছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের চাষিদের রক্ষা করতে হবে এবং অপরাধীদের দেশছাড়া করতে হবে। পরিবর্তন আসছে! ক্যালিফোর্নিয়ার ফার্ম ব্যুরোগুলো জানিয়েছে, ক্ষেত এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রগুলোতে আইসের অভিযানের ফলে খাদ্য উৎপাদন চক্র হুমকির মুখে পড়েছে। ভেনচুরা কাউন্টিতে স্ট্রবেরি, লেবু ও অ্যাভোকাডো উৎপাদনকারী ফার্মে অভিযানে বহু কর্মী আটক হয়েছেন, অন্যদিকে অনেকেই আতঙ্কে কাজে যাচ্ছেন না। নেব্রাসকার ওমাহায় একটি ফুড প্যাকেজিং কোম্পানিতে গত ১০ জুন ৭০ জনের বেশি অভিবাসী কর্মী আটক হন। কোম্পানির মালিক জানান, তারা স্বেচ্ছায় কর্মীদের অভিবাসন স্ট্যাটাস যাচাইয়ের প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন, তবে এখন প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ৩০ শতাংশ সক্ষমতায় চলছে।

এই পদক্ষেপ স্পষ্ট করে যে, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি যতই কঠোর হোক না কেন, অর্থনীতির নির্ভরশীল খাতগুলোতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়লে তা কিছুটা সীমিত করতেই হচ্ছে। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অপরাধী এবং ‘সাংকচুয়ারি’ শহরগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। হোয়াইট হাউসের বর্ডার উপদেষ্টা টম হোম্যান বলেন, আমরা যদি কাউকে জেলে ধরতে না পারি, তবে তাকে কমিউনিটিতে ধরব। আর সেখানেও না পারলে কর্মক্ষেত্রে অভিযান বাড়াবো। পুরো এলাকা অভিযানময় করে তুলবো। এ সিদ্ধান্ত অভিবাসন নীতিতে এক নতুন মোড় এনেছে, যেখানে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের সঙ্গে অর্থনৈতিক বাস্তবতার সংঘর্ষ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)