যুক্তরাষ্ট্র ২০২৪ অর্থবছরে রেকর্ড ১১.৫ মিলিয়ন ভিসা ইস্যু করেছে। ইস্যুকৃত ভিসাগুলোর মধ্যে ৮.৫ মিলিয়ন ছিল ভ্রমণ ভিসা। সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেনের মতে, যুক্তরাষ্ট্র স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভিসা প্রক্রিয়ার অপেক্ষার সময় ৬০ ভাগ কমিয়ে এনেছে। বর্তমানে ভিসা প্রক্রিয়ার অপেক্ষার সময় পূর্বের বছরের তুলনায় অনেক ভালো পরিসংখ্যান প্রদর্শন করেছে। এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভাগের কনস্যুলার দলের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে। ২০২৪ অর্থবছরে, বিশ্বব্যাপী রেকর্ড ১১.৫ মিলিয়ন ভিসা ইস্যু করা হয়েছে, যা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে ৮.৫ মিলিয়ন ছিল ভ্রমণ ভিসা। এই সংখ্যা পূর্বের বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে ভিসা ইস্যুর প্রক্রিয়াও উন্নত হয়েছে।
ভিসার অপেক্ষার সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। মহামারির সময় যখন কনস্যুলার কার্যক্রম ব্যাপক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল, তখন অপেক্ষার সময় অনেক বেড়ে গিয়েছিল। এখন সেই অপেক্ষার সময় প্রায় ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং বর্তমানে প্রথমবারের ভ্রমণ ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য গড় অপেক্ষার সময় ৬০ দিনের কম। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি বড় স্বস্তি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। প্রক্রিয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৫ অর্থবছরের জন্য অতিরিক্ত ১ মিলিয়ন ভিসা সাক্ষাৎকার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা এই বছরের রেকর্ড সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এ উদ্যোগগুলো বিভিন্ন উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণকে সমর্থন করবে, বিশেষ করে ফিফা বিশ্বকাপ, অলিম্পিক এবং প্যারালিম্পিক, এবং রাগবি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মতো প্রধান ক্রীড়া ইভেন্টগুলোর জন্য।
২০২৬ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৯০ মিলিয়ন দর্শনার্থীর প্রত্যাশা করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ঘোষণা আসে যখন রেকর্ড-ব্রেকিং ৮.৫ মিলিয়ন দর্শনার্থী ভিসা ইস্যু করা হয়েছে, মোট ১১.৫ মিলিয়ন ভিসার মধ্যে। বড়মাপের ইভেন্টগুলোর দর্শকদের জন্য কার্যকর ভিসা প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য প্রস্তুতি চলছে, যেমন ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ এবং ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিক। এছাড়াও সাধারণ পর্যটন এবং ব্যবসায়িক ভ্রমণের জন্যও এই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। লক্ষ্য হল আবেদন প্রক্রিয়াকে সময়মত এবং নিরবচ্ছিন্ন করা, আগামী বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ভ্রমণকে উৎসাহিত করা।
যুক্তরাষ্ট্র ২০২৪ অর্থবছরে ১১.৫ মিলিয়ন ভিসা ইস্যু করে একটি রেকর্ড স্থাপন করেছে, যা মহামারির পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সাফল্যের উদাহরণ। এই সাফল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ৮.৫ মিলিয়ন ভ্রমণ ভিসা, যা পূর্বের বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি ভিসা প্রক্রিয়ার অপেক্ষার সময় ৬০ শতাংশ কমানো হয়েছে, যা ভ্রমণকারীদের জন্য একটি বড় স্বস্তি এনে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগগুলো আন্তর্জাতিক ভ্রমণকে আরো সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলছে। আগামী বছরগুলোতে আরো বেশি ভিসা ইস্যু এবং বড়মাপের ইভেন্টগুলোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ ও পর্যটন খাতকে আরো উজ্জ্বল করবে।