জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করবে সরকার


দেশ অনলাইন , আপডেট করা হয়েছে : 31-12-2024

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করবে সরকার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্র গৃহীত হবে।

সোমবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত হবে।

সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণাপত্র প্রস্তুত হবে এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

ছাত্রদের আজ মার্চ ফর ইউনিটি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে দুদিন ধরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা হচ্ছে।  কিন্তু হঠাৎ ছাত্রদের জুলাই বিপ্লবের ঘোষনাপত্র দেয়ার দ্বায়িত্ব নেয় সরকার। বাধ্য হয়ে ছাত্ররা তাদের এ কর্মসূচিতে পরিবর্তন এনে সেখানে মার্চফর ইউনিটিতে পরিবর্তন করে।

 সোমবার রাত পৌনে দুইটার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি পালন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। এতে বলা হয়, হাজারো শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি ও জন-আকাঙ্ক্ষার দলিলস্বরূপ ‘জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র’ অত্যাবশ্যক ছিল। এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের ঐতিহাসিক দায় জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর বর্তায়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পক্ষে এই ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র প্রণয়ন ও ঘোষণার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতার মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ও ইতিবাচক সাড়া সঞ্চারিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতার আহ্বানে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতা এই সময়োপযোগী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।
এদিকে ছাত্রদের  জুলাই বিপ্লবের ঘোষনাত্র ঘোষনার দ্বায়িত্ব  রাষ্ট্র নেয়ায় সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে সমন্বয়ক সারজিস আলম। তবে ঘোষনাপত্র নিয়ে যে উৎসাহ তৈরী হয়েছিল সেটা সরকার দ্বায়িত্ব নেয়ায় ছাত্ররা কিছুটা মন খারাপ। সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ বলেছেন, এটা এখন প্রাথমিক বিজয় লাভ করলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত ছাত্ররা যেসব বিষয়ে দাবী জানিয়ে ঘোষনা দেবে বলে জানান দিয়েছিল, সেসব দাবী সরকারের ঘোষনায় থাকবে কি না সেটা নিয়ে একটা বড় প্রশ্ন দাড়িয়ে গেল।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)