ঢাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা


বিশেষ প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 23-10-2024

ঢাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

কোটাবিরোধী আন্দেলনকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত হওয়ার অন্যতম কারিগর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ। নিরীহ ছাত্রছাত্রীর ওপর নির্বিচারে হামলার কথা এতো দ্রুত ভুলে যাওয়ার নয়। যদিও ছাত্রলীগের এমন কার্যকলাপের উসকানিদাতা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছিলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট। এর পরই আক্রমণের সূচনা। বেড়ধক লাঠিপেটা, হামলা, রক্তাক্ত করা আন্দোলনকারীদের। এতে আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ বহুগুণে বেড়ে যায়। ছাত্রলীগের নির্যাতন মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল বহুগুণে। পরের ঘটনা সবার জানা।

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকালে শাহবাগ থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। ৩৯১ জনের নামে এবং ৮০০ থেকে ১ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলার আবেদন করা হয়। মামলার আবেদন শেষে শাহবাগ থানার ভেতরে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক আবদুল কাদের, মাহিন সরকার, আবদুল হান্নান মাসুদসহ অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে মামলার বিষয়ে জানিয়ে মাহিন সরকার বলেন, গত ১৫ জুলাই ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কলঙ্কজনক একটি দিন। এদিন আমাদের বোনদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা করা হয়, তাদের শ্লীলতাহানি করা হয়। আমরা মনে করি, এটির বিচার হওয়া উচিত। সেজন্য আমরা হামলাকারী ও হুকুমদাতাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।

শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মামলার আবেদন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, মামলায় ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে ওবায়দুল কাদেরকে, যিনি সরাসরি হামলায় উসকানি দিয়েছেন। ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল ইসলাম নওফেলকে এবং ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে।

আসামির সংখ্যা জানিয়ে মাহিন বলেন, ‘আমরা মোট ৩৯১ জনের নামে মামলা করেছি এবং ৮০০ থেকে ১ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করেছি। অজ্ঞাতনামাদের মধ্যে রয়েছেÑমহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।’

রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রায় ৪০০ নাম উল্লেখ করে মামলা দিয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আসামিও রয়েছে। আমরা এজাহার গ্রহণ করেছি। এটি আপাতত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেবো।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)