বিএনপি জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে গণহত্যার তদন্তে


বিশেষ প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 14-08-2024

বিএনপি জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে গণহত্যার তদন্তে

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার অপরাধ বিশেষ করে ‘গণহত্যা’র তদন্ত চাইছে বিএনপি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সংঘটিত ‘গণহত্যা’র আন্তর্জাতিক তদন্তে জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। গত ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে জাতিসংঘের অফিসে গিয়ে সংস্থার আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের কাছে এই চিঠি হস্তান্তর করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এই সময়ে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদও ছিলেন।

পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা এসছি যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জাতিসংঘের কাছে আমাদের একটি আবেদন, সেটা হচ্ছে একটি অবৈধ সরকারের অধীনে বাংলাদেশে যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের যে হত্যা করা হয়েছে তার একটি নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক মানের স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে সম্পূর্ণ যে ঘটনা ঘটেছে এটা উৎঘাটন করার জন্য আমরা জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছি।”

‘আমরা চিঠি দিয়েছি। তারা জাতিসংঘে পাঠাবেন’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে, গুম করা হয়েছে নাগরিকদের, এটা উন্মোচন করার প্রয়োজন আছে এবং জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে হলে, দেশের মধ্যে এবং দেশের বাইরে যে ঘটনার মাধ্যমে এই হত্যাযজ্ঞ করেছে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায়, এটাকে জাতির সামনে, বিশ্বের সামনে আমাদেরকে তুলে ধরতে হবে। যাতে আগামী দিনে বাংলাদেশে কেউ সাহস করবে না যে, নিজের দেশের নাগরিকদের হত্যা করে জোর করে ক্ষমতায় থাকার যে আকাংখা সেই আকাংখা কারো যেন না হয়। আমরা জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য এই ধরনের একটা পরিচ্ছিন্ন একটি নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য তদন্তের কথা বলেছি। জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছি। আমরাও ইন্টারিয়াম গভমেন্টও বলেছি, জাতিসংঘকে বলার জন্য। জাতির এই ক্রান্তি লগ্নে এরকম একটি তদন্ত সকলের আকাংখা, জাতির আকাংখা বলে আমরা মনে করি এবং সেটাই আমরা জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছি।

এই তদন্তের বিষয়বস্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আমীর খসরু বলেন, এখানে গণহত্যার ওপরেই তদন্ত হবে। এই যে, গণহত্যা হয়েছে একটি সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় এজন্য এটার তদন্ত আন্তর্জাতিক মানের নিরপেক্ষ স্বচ্ছ একটি তদন্তের প্রয়োজন আছে। তার মানে এই না যে, দেশের মধ্যে যে আইনি ব্যবস্থা সেটার সাথে এটা (তদন্ত) সাংঘর্ষিক কিছু নাই। কারণ আমাদের আগে আইন বলে তো কিছু ছিলো না দেশে। এখন সেটা আমরা ক্রমান্বয়ে ফিরে পারছি।দেশের অভ্যন্তরে যেটা হবে সেটা তো অন্য বিষয়। যে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে তা সারা বিশ্বের কাছে ঘৃণিত হয়েছে এবং সারা বিশ্ব এটার প্রতিবাদ করেছে। আমরা মনে করি যে, আন্তর্জাতিক মানের একটি স্বচ্ছ নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা যদি এসব তুলে ধরতে না পারি ভবিষ্যতেও স্বৈরাচার এবং এরকম ফ্যাসিস্ট সরকার আসবে, বাংলাদেশের মানুষকে গুম-খুন হত্যা করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবে। আমরা চিরতরে এটার অবসান চাই।

‘তাদের ফিরে আসা না আসা নিজস্ব ব্যাপার’

গণহত্যার বিচার হতেএকজন গণহত্যাকারী কি আবার দেশে ফেরত এসে রাজনীতি করার অধিকার রাখে কিনা প্রশ্ন করা হলে আমীর খসরু বলেন, দেখুন ফিরে আসা না আসা তো তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। কিন্তু গণহত্যার বিচারের সম্মুখীন হবে এটা নিয়ে কারো মনে সন্দেহ থাকার কথা নয়। ব্যক্তি দল-তাদের যে এই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে এ ব্য্যাপারে কারো মনে সন্দেহ নেই, এটা কোনো আলোচনার বিষয় নয়।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)