ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি দেশবিরোধী নতুন দস্তখত : ইসলামী আন্দোলন


বিশেষ প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 26-06-2024

ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি দেশবিরোধী নতুন দস্তখত : ইসলামী আন্দোলন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ভারতের সাথে যে কোন চুক্তি দেশবাসী মানবে না। ভারতকে রেল লাইন ব্যবহারের অনুমতি দিলে দেশের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতকে সবকিছু দিয়েই যাচ্ছেন। বিনিময়ে ভারত আমাদেরকে প্রতিনিয়ত সীমান্তে লাশ উপহার দিচ্ছে। বর্ষা মওসুমে অভিন্ন নদীর বাঁধ ছেড়ে দিয়ে পানিতে চুবিয়ে মারছে। আর যখন পানির প্রয়োজন, তখন পানি বন্ধ করে দিয়ে মরুভূমিতে পরিণত করছে। ভারত আমাদের সাথে এমনই ব্যবহার করছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করে জাতিকে কী উপহার দিলেন? প্রধানমন্ত্রীর সফরের ফলাফল জিরো। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার ব্যাপারে কোন কথা বলতে পারেননি। ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত করলেও কোন আলোচনা নেই। সীমান্ত হত্যার ব্যাপারে কোন আলোচনা নেই। ১০টি সমঝোতা চুক্তি দেশবিরোধী নতুন দস্তখত। নতজানু ডামি সরকারের পক্ষে ভাল কিছু করা সম্ভব নয়। নয়াদিল্লীর কালো চুক্তির নামে ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার ষড়যন্ত্র দেশবাসী মেনে নিবে না। ঐক্যবদ্ধভাবে দেশপ্রেমিক জনতা প্রতিহত করবে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় লাগামহীন দুর্নীতির কারণে মানুষ চরম কষ্টকর জীবনযাপন করছেন।

গত ২৪ জুন সোমবার বিকেলে ভোলা সদর উপজেলা বাংলা মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলার সদর উপজেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিশাল নবীন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সদর উপজেলার সভাপতি এইচ এম আব্দুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ ছিলেন, সংগঠনের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন ভোলা জেলা সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজী, সহ-সভাপতি ওবায়েদ বিন মোস্তফা, সেক্রেটারি মাওলানা তরিকুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি আবদুল মমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ আদনান। এছাড়ও ইসলামী যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলনসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে অপরিহার্য নানা পণ্যের সেবার ওপর বাড়তি কর চাপানো হয়েছে। মোবাইলফোনে কথা বলার ওপর অতিরিক্ত কর বসানো হয়েছে। পানি শোধন যন্ত্র, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা এসি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন গৃহস্থালি দ্রব্যের উপর শুল্ক কর বাড়ানো হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের কষ্ট ও দুর্ভোগ বাড়াবে। সরকার ঋণনির্ভর বাজেট দিয়ে জাতিকে ঋণের বোঝায় জর্জরিত করে তুলছে। সরকারের ঘোষিত নতুন বাজেট জনগণের উপর নতুন করে দ্রব্যমূল্যের খড়গ চাপিয়ে দেয়ার বাজেট।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)